April 26, 2024, 10:17 am

গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১

যমুনা নিউজ বিডিঃ ভারতের গুজরাটের মরবিতে কেব্‌ল সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মরবি জেলার মাচ্চু নদীতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, ভেঙে পড়ার সময় সেতুর ওপরে ৫০০ জনের মতো মানুষ ছিল। এ ঘটনায় আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৭ জনকে। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন সেখানে।

দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে তৎপরতা চালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজনও।

গত সপ্তাহেই সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল। সংস্কারের পর কিছুদিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এটি। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এর ফিটনেস সনদ নেওয়া হয়নি। সেতু ফের চালু হওয়ার ৪ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারও নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত মোরবির ঝুলন্ত এই সেতু ভারতের ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায়ও রয়েছে। গুজরাটের স্থানীয় নববর্ষ উপলক্ষে মেরামতের পর গত চারদিন আগে (২৬ অক্টোবর) সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।

মোরবি পৌরসভার কর্মকর্তারা বলেছেন, যথাযথ ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি বেসরকারি ট্রাস্ট সেতুটির মেরামত ও সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা না দিয়েই ওই ট্রাস্ট সেতুটি খুলে দেয়।

দুর্ঘটনার পরপরই ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফ-এর পাঁচটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকেও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত করে অভিযান জোরালো করা হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর প্রায় ১৯ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের কার্যালয় জানিয়েছে, ‘সেতু ধসে আহতদের চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে একটি পৃথক ওয়ার্ডও স্থাপন করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় সেটিতে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু ছিল। সেতুর তার ছিঁড়ে যাওয়ার পর অনেক লোক নিচে নদীতে পড়ে যায়। আর এতেই হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD