March 28, 2024, 9:15 pm

সাপাহারে আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

নওগাঁপ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের বিরামপুর শ্রীধরবাটী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা প্রকাশ্য আলহাজ¦ সামরুল ইসলাম ওরফে সেন্টু মাস্টার নামের একজন আম বাগান মালিকের প্রায় ১৪ টি আমগাছ কেটে ফেলেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ্য আমবাগান মালিক আলহাজ¦ সামরুল ইসলাম ওরফে সেন্টু মাস্টারের ছেলে শহিদুল ইসলাম জানান,বিরামপুর ক্লাবের দক্ষিনে শ্রীধরবাটী মৌজায় ক্রয় সুত্রে প্রাপ্ত তাদের সম্পত্তিতে প্রায় ২৫/৩০ বছর ধরে আমবাগান তৈরী করে তারা ভোগ দখল করে আসছিলেন। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার মৃতঃ রেজাতুল্লাহ মন্ডলের ছেলে মোঃ আমিন আলীর নেতৃত্বে এলাকার কুখ্যাত দখলবাজ ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল সর্দারনী স্থানীয় দিঘিরহাটের বাসিন্দা আকলিমা বেগম (গলাকাটি) তার স্বামী মোস্তফা(৫৫) ছেলে সাগর(২৫) ও বিচ্ছু(২০) শ্রীধরবাটী গ্রামের দুরুল হোদার ছেলে এরশাদ আলী, বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মন্জুর আলীর ছেলে মর্তুজা,ও নুরুল ইসলাম,আমিন আলীর ২য় স্ত্রী-মনোয়ারা বেগম(৩৫)ছেলে মোশারফ ও জামিল,সহ অজ্ঞাতনামা একদল দাঙ্গাবাজ ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বে-আইনী ভাবে তাদের আম বাগানে প্রবেশ করে প্রকাশ্য বাগানের আম গাছ গুলো কাটতে শুরু করে। ঘটনার সময় আলহাজ¦ সামরুল ইসলাম ওরফে সেন্টু মাস্টারের পরিবারের কোন পুরুষ সদস্য বাড়িতে ছিলোনা। এ অবস্থা দেখে বাগান মালিকের স্ত্রী মোসাঃ রোকেয়া বিবি ও পরবিারের মহিলাগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে আম গাছ গুলো কাটতে তাদের কে নিষেধ করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মহিলাদের মারপিটের ভয় ভিতি দেখিয়ে বাগান থেকে তাড়িয়ে দেয়। দুবৃত্তরা এ সময় ওই বাগানের ২৫/৩০ বছর বয়সী বড় বড় ১৪ টি আমগাছ কেটে ফেলে বাগান মালিকের প্রায় ৩লক্ষ টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। এ বিষয়ে মোবাইলে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। তাৎক্ষনিক সাপাহার থানা পুলিশের এস আই সাম মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গেলে ভাড়াটিয়া লাঠিয়ালগণ কাটা গাছ গুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিক জড়িতদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আমিন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, ওই সম্পতি নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকর্দ্দমা হয়েছিল। বিজ্ঞ আদালত দলিল পত্র পর্যালোচনা করে আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তার পরেও তারা ওই সম্পত্তি অন্যায় ভাবে ভোগ দখল করছে। স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েক বার আপস মিমাংশার চেষ্টা করা হলে আমি আপস মেনে নিলেও তারা আপস মিমাংশা মেনে নেয়নি। এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা (ওসি তদন্ত) হাবিবুর রহমানের সাথে ফোনে কথা হলে উল্লিখিত ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD