March 29, 2024, 1:28 am

রাবিতে হঠাৎ খাবারের দোকান বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (২৫ আগস্ট) সময়সীমা নির্ধারণ করে অস্থায়ী দোকানপাট তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের আশপাশের খাবারের হোটেলসহ সব ধরনের অস্থায়ী দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দোকানদাররা।

দোকানদারদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চা/পান/হোটেল/ফাস্টফুড/জুস/সবজি/মুদি/কাপড়ের দোকান পরিচালনা করছেন। তাই আগামী ২৫/০৮/২০২২ তারিখের মধ্যে সমস্ত জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেবে।

দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমাদের মাত্র ২-৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের তো সব খাবারের আইটেম। এ সময়ের মধ্যে আমরা এসব জিনিস কীভাবে কী করব? তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্থায়ী শেডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে আমাদের উঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা বছরের পর বছর ধরে এখানে ব্যবসা করেছি, আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আনোয়ার হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকির এক দোকান মালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দোকান বন্ধ রেখেছি স্যারের (রেজিস্ট্রার) কাছে যাওয়ার জন্য। আমরা গরিব মানুষ। আমরা কী করে খাব? কাকে দোকান দেবে
আর  কাকে দেবে না, সেটা প্রশাসন জানে।

আবার শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এখানে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। তাদের মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের তৃথীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, এসব দোকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের মতো। এখানে শিক্ষার্থীরা খাবে, আড্ডা দেবে। এটা ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কল্পনায় করা যায় না। টুকিটাকি চত্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মার মতো একটা জায়গা। এখন আমরা কয়েকজন আছি। আমরা এখন যাব, সবার পক্ষ থেকে স্যারের সঙ্গে কথা বলব।

ভোগান্তিতে পড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, সকাল ৯টায় ক্লাস ছিল। এসেছিলাম ক্যাম্পাসেই খাব চিন্তা করে। এসে দেখি সব বন্ধ, এখন না খেয়েই ক্লাস করলাম। এভাবে হঠাৎ করে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অযাচিত। তাদের সঙ্গে ভাড়া বা অন্য কোনো ইস্যু থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা যেত।

এদিকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে চিঠি ইস্যু করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলছেন, আমরা শুধুমাত্র চিঠি ইস্যু করেছি। এ ব্যাপারে এস্টেট শাখার সঙ্গে কথা বললে, তারা বলতে পারবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ আলী বলেন, আমরা তাদের ২৫ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। ২৮ তারিখের আগ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে আমরা অভিযানে নামব।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD