October 11, 2024, 8:00 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বেগম আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি।
মারা যাওয়ার তিন দিন আগে আইভি রহমান ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
দিনটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের বাসায় এক দোয়া ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ কোরআন খতম, দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে।
আইভি রহমান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী। তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৭ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না। পারিবারিকভাবে আইভি রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিকটাত্মীয়। তার বড় বোন সামসুন্নাহার সিদ্দিকা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার শাশুড়ি। এ ছাড়াও আইভি রহমানের বিয়ের সাক্ষী ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আইভি রহমান ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরব শহরের চণ্ডিবের এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম জেবুন নাহার রহমান আইভি। ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে ভৈরবের জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তার নামের সঙ্গে যুক্ত করেন রহমান। তার বাবা জালাল উদ্দিন ছিলেন তৎকালীন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। ৮ বোন ৪ ভাইয়ের মধ্যে আইভি রহমান পঞ্চম।
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগ সদস্য এবং ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। এরপর ১৯৮০ সাল থেকে কয়েক বছর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে আইভী রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে বলেন, ঘটনার দিন খবর পেয়ে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে ডাক্তার-নার্স কাউকে দেখতে পাইনি। এ সময় মাকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তারপর অনেকটা জোর করে মাকে সিএমএইচে নিয়ে গেলাম। সেখানেও চিকিৎসা বিলম্ব। তৎকালীন বিএনপি সরকার আমার বাবা জিল্লুর রহমানকে দু’দিন দেখতে দেয়নি মাকে। কতটা নির্মম, নিষ্ঠুর আচরণ করেছে তৎকালীন সরকার।