April 27, 2024, 12:44 am

বগুড়ায় পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে, সংকট হওয়ার সুযোগ নেই

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ চলতি বছরে শাকসবজি ও মরিচ চাষ বেশি এবং খরার কারণে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে একই সাথে রোপা আমন ধান রোপনের ফলে বগুড়ায় কৃষকদের বেশি সারের প্রয়োজন হলেও চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত ২ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার বগুড়ার প্রতিটি উপজেলায় প্রদান করা হয়। সেই সাথে সারের কালোবাজারি রুখতে ও সরকারের নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রেখেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ করতোয়ায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব কথা বলেন জেলার কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সার বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বগুড়ায় মোট আবাদী জমির পরিমাণ ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৩০ হেক্টর। এর মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪০ হেক্টর রোপা আমন রোপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে আগামী একসপ্তাহের মধ্যে শতভাগ জমিতে রোপা আমন চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার রোপিত প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে ইউরিয়া সারের প্রয়োগ চলছে। এছাড়াও ৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে শাকসবজি ও ৭২৫ হেক্টর জমিতে আগাম মরিচের চাষ হয়েছে।

গত বারের চেয়ে এবছর শাকসবজি ও মরিচের চাষ বেশি এবং খরার কারণে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে একই সাথে ধান রোপনের ফলে বেশি সারের প্রয়োজন হয়েছে। তবে কৃষদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গতকাল রোববার কৃষিমন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত আরো ২ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার প্রতিটি উপজেলায় প্রদান করা হয়। বগুড়া জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আগস্ট মাসে জেলায় ইউরিয়া ৯ হাজার ৩৫৫ মে. টন, টিএসপি ১ হাজার ৫০৭ মে. টন, এমওপি ১ হাজার ৫৮৯ মে.টন এবং ২ হাজার ১২৫ মে.টন ডিএপি সার বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসের বরাদ্দ থেকে ইউরিয়া ৭ হাজার ২০৯ মে.টন, টিএসপি ১ হাজার ৩৯ মে.টন, এমওপি ১ হাজার ৬১ মে.টন এবং ৮৮৫ মে.টন ডিএপি সার কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে জেলায় ইউরিয়া সার ১ হাজার ২০৫ মে.টন, টিএসপি ৮৯০ মে.টন, এমওপি ৫৭০ মে.টন এবং ১ হাজার ৯৫৬ মে.টন সারের মজুদ রয়েছে।এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আগস্ট মাসে জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়। এজন্য ইউরিয়া ৯ হাজার ৩৫৫ মে. টন, টিএসপি ১ হাজার ৫০৭ মে. টন, এমওপি ১ হাজার ৫৮৯ মে.টন এবং ডিএপি ২ হাজার ৪২৯ মে.টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।

বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, জেলার সকল কৃষক যাতে সঠিকভাবে সার পান এজন্য জেলা ও সকল উপজেলা পর্যায়ে আমাদের মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে জেলায় পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। তাই সার নিয়ে কৃষকদের আতংকিত হবার কোন কারণ নেই। সরকার নির্ধারিত সারের মূল্য নিশ্চিত ও সার নিয়ে সিন্ডিকেট রুখতে পুলিশের বিভিন্ন টিমের অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD