December 1, 2023, 10:46 pm
স্টাফ রিপোর্টার : মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহার জন্য কোরবানীর পশুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে বগুড়া শহরের কালিতলা হাটে। সকল পশুর দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম। তারপরও পশু ক্রয় বিক্রয় হয়েছে ভালো। এ হাটের সবাই শহরের বসবাসকারী ক্রেতা। তবে, শহরের বাসাবাড়িতে পশু রাখা সমস্যা তাই কেউ কেউ পশু কিনে পালনকারীর নিকটই রাখছেন। ঈদ উল আযহা দরজায় কড়া নাড়ছে তাই কোরবানীদাতারাও পশু কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোরবানীর সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই পশুর হাট বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। অতীত বছরগুলোর মতো এবার কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে পশুর হাট বাজার। এবার শেষ সময়ে কোরবানীর হাট জমে উঠেছে। বগুড়া শহরবাসীদের একমাত্র শহরের মধ্যে হাট কালিতলা। এ হাটে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দুর দুরান্ত থেকে পাইকারী ও পালনকারীরা বিভিন্ন বয়সের ব্যাপক গরু, ছাগল, ভেড়া নিয়ে উপস্থিত হন। পশুর সাথে ব্যাপক উপস্থিতি ছিল, তবে উপস্থিতির তুলনায় ক্রেতা কম ছিল। তারপরও পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে ভালো। সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং গো-খাদ্যর দাম যেহারে বেড়েছে সেই তুলনায় পশুর দাম বাড়েনি। হাফিজার রহমান নামের এক ব্যবসায়ী একটি বড় ষাড় কালিতলা হাটে এনেছে দাম চাইছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা। বিকেল পর্যন্ত পৌনে ৩ লাখ টাকা দাম করেছেন ক্রেতারা। কোন কোন পশু পালনকারীরা বলেছেন, উচ্চ দামের গো খাদ্য ক্রয় করে বর্তমানে দামে পশু বিক্রি করে খরচের টাকা উঠবে না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত বগুড়া শহরের কালিতলা নিবাসী পশু ক্রেতা ইঞ্জিঃ আহসান হাবিব জানান, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে সেহারে পশুর দাম বাড়েনি। বরং গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম আছে। গত বছর জিনিসপত্রের দাম বেশী না থাকলেও করোনার কারনে পশুর উপস্থিতি কখনো কম এবং ক্রেতাও কম থাকায় তুলনামুলকভাবে পশুর দাম বেশী ছিল।
হাটের আগত কোরবানী ক্রেতা বগুড়া সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জহুরুল ইসলাম জানান, গরু, ছাগল ও ভেড়ার ব্যাপক আমদানি হয়েছে কালিতলা হাটে। সকল পশুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। কোন কোরবানী পশুর দাম বাড়েনি। পশু বেচাকেনাও অনেক হচ্ছে।
শাজাহানপুর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী হাফিজার রহমান জানান, হাটে ব্যাপক কোরবানীর পশুর আমদানি হয়েছে। এবার কোন কোরবানী পশুর দাম বাড়েনি। আমার ষাড়টি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাম চেয়েছি। ইতিমধ্যে ২লাখ ৭৫ হাজার টাকা দাম করছেন ক্রেতারা।
একই উপজেলা মাদলা এলাকার পশু পালনকারী হাফিজুর রহমান, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম ও গো খাদ্যের দাম বাড়লেও কোরবানীর পশুর দাম বাড়েনি। উচ্চ মুল্যে গো খাদ্য কিনে পশু পালন করে বর্তমান বাজারে পশু বিক্রি করলে খরচের টাকা তুলা সম্ভব হবে না।
এরুলিয়া থেকে আগত পশু পালনকারী সাজু মিয়া জানান, দুটি গরু পালন করেছিলাম, দুটিই কালিতলা হাটে বিক্রি করেছি। কিন্তুশহরের বাসাবাড়িতে গরু রাখা সমস্যা হয় ,তাই ক্রেতারা ঈদের সকালে গরু বুঝিয়ে নেবে। সেকারণে গরু বিক্রি করেও আবার নিজ বাড়িতে গিয়ে যাচ্ছি।
কালিতলা হাট ইজারাদারের পরিচালক মাশরাফি আলম খোকন জানান, কোরবানীর ঈদের আর মাত্র দুইদিন বাকী এবং শহরের মধ্যে একমাত্র কালিতলা হাট হওয়ায় পশু এবং ক্রেতার উপস্থিতি ব্যাপক ছিল। সকল পশুর দাম স্বাভাবিক ছিল তাই পশু কেনা বেচা ভালো হয়েছে।