December 8, 2023, 9:05 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান পলাতক কি না এবং তাদের পক্ষে আইনজীবী লড়তে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানা যাবে ২৬ জুন। রবিবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদ গোপন করার অভিযোগে করা মামলা দায়ের ও এর প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে তারেক ও তার স্ত্রী জোবাইদা ১৫ বছর আগে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট করেন। তখন হাইকোর্ট রুল দিয়েছিলেন। রুল শুনানির জন্য তারেক রহমানের করা দুটি রিট ও জোবাইদা রহমানের করা একটি রিট গত ২৯ মে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন পলাতক তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী সময়ের আরজি জানাতে পারেন কি না-তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন দুদকের আইনজীবী। এরপর ৫ জুন তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান পলাতক কি না এবং তাদের পক্ষে আইনজীবী লড়তে পারবেন কি না-এমন প্রশ্নে শুনানি হয়।
আদালতে তারেক-জোবাইদার রিটের বিষয়ে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে অংশ নেন।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, তিনটি মামলায় তারেক রহমান দণ্ডিত হয়েছেন। তার সাজা-পরোয়ানা এখনো ঝুলছে। যদি তিনি দণ্ডিত না হতেন আর মামলাগুলোর বিচার শেষ না হতো- তাহলে ভিন্ন কথা। তারেক রহমান এ মামলায় পলাতক। একই মামলা বাতিল চেয়ে জোবাইদা রহমানের করা আবেদনের ওপর সর্বশেষ আপিল বিভাগ গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন। এই রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, জোবাইদা রহমান পলাতক। পলাতক বলে তাদের পক্ষে আইনজীবী শুনানি করতে পারেন না।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের রিট মামলার রুল শুনানি শুরু হয়। রুল শুনানির এক পর্যায়ে তারেক রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক কি-না এ বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো কার্যতালিকায় আসে। এরপর রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই সময় ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
– বাসস