April 23, 2024, 12:56 pm

সৈয়দপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঘুঘু পাখি

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রাম এলাকায় একসময় প্রচুর ঘুঘু পাখি দেখা যেত। আবার অনেকে খাঁচায় করে বাসায় পুষত। গ্রামবাংলার একসময়ের চির পরিচিত ঘুঘু পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। একসময় ঘুরে বেড়ানো ঘুঘু পাখি আর চোখে পড়ে না। অথচ একসময় গ্রামবাংলার কৃষকের মাঠের ধান ঘরে উঠছে এই আনন্দে ঘুঘুর ডাকে মুখরিত হয়ে উঠত পরিবেশ।

একসময় ধানের জমিতে ঘুঘু পাখির উৎপাত কৃষককে আনন্দ দিত। ঝোপ-জঙ্গল, খোলা মাঠ, গ্রাম বা আশপাশে বড় বড় গাছ আছে এমন কৃষি জমিতে এদের দেখা মিলত। কিন্ত ইদানীং আগের মতো চির পরিচিত এ পাখিটি তেমন দেখা যায় না। দুই একটা গ্রামে দেখা গেলেও তার সংখ্যা খুবই কম।

প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সেতুবন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, এ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বনগুলোতে প্রায় সর্বত্রই লাল, সবুজ, নীল ও খয়েরি বর্ণের ঘুঘুর বিচরণ ছিল। সাধারণত জোড়ায় বা ছোট দলে বিচরণ করে। কৃষিজমি, খামার, ঘাসপূর্ণ মাঠ, ঝোপ, বনের প্রান্ত বা গ্রামে হেঁটে হেঁটে খাবার সংগ্রহ করে এরা। ঘাস ও আগাছার বিচি, শস্যদানা, গাছের কুঁড়ি ও কচি পাতা খায়। মূলত ধানই ছিল ঘুঘুর প্রধান খাদ্য। তার মতে, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির পাখি বলে পরিচিত ঘুঘু পাখি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার জানান, ঘুঘু অত্যন্ত ভীতু ও লাজুক প্রকৃতির পাখি। সাধারণত বছরে এক জোড়া ডিম পাড়ে। সেই ডিমে তা দিয়ে নিজেই বাচ্চার জন্ম দেয়। বিস্তীর্ণ জমির গাছের ডালে, আড়ালে আবডালে এরা বাসা করে ডিম থেকে বাচ্চা দিত। এখন এই পাখিটি বিলুপ্ত প্রায়। বাসা থাকলেও পাখি নেই। একসময় প্রচুর সংখ্যায় দেখা গেলেও শিকারিদের কবলে পড়ে ও ঝোপ-জঙ্গল কমে যাওয়ায় বর্তমানে এদের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে এই সুন্দর পাখিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD