April 20, 2024, 2:34 am

দলীয় সরকারের অধীনে সিপিবি-বামজোট নির্বাচনে যাবে না-কমরেড সেলিম

“দলীয় সরকারের অধীনে সিপিবি-বামজোট নির্বাচনে যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য লড়াই গড়ে তুলতে হবে।”

ভোটাধিকার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি জাতীয় নেতা কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নার সভাপতিত্বে আজ বিকেল ৪ টায় বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথায় অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমরেড আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মহসীন রেজা। জনসভা পরিচালনা করেন সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আমিনুল ফরিদ।

জনসভায় কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ” স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর ৩২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২০ বছর ক্ষমতায় থেকেছে। গত ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ১৪ বছরসহ গত ১৩ বছরে এদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে ১১ লাখ কোটি টাকা। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দূর্নীতির মাধ্যমে আমলা, ঠিকাদার, অসৎ রাজনীতিবিদরা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, ” আয় করে কৃষক, ক্ষেতমজুর, প্রবাসী শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিকরা আর মুনাফা লুটে নিয়ে লুটেরা ধণিকরা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। করোনাকালে আড়াই কোটি লোক নতুন করে দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। দেশে এখন মোট সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার মধ্যে অবস্থান করছে। দারিদ্র মানুষের হাতে টাকা থাকলে দেশের উন্নতি হবে। ধনীদের হাতে টাকা থাকলে বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকার যদি দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে তার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে গরীব মানুষের স্বার্থরক্ষা করতে হবে এবং তাদেরকে ক্ষমতায় আনতে হবে যারা গরীব মানুষের স্বার্থরক্ষা করবে।”

কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরো বলেন, “আওয়ামী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিলো প্রধানত একদলীয় নির্বাচন। ১৫৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় পাশ করার নির্বাচন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিলো মধ্যরাতের নির্বাচন। এখন নির্বাচন পরিণত হয়েছে নৌকা আওয়ামী লীগ বনাম বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচনে সিপিবি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সেকারণেই আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই গড়ে তুলতে হবে।”

তিনি ভোটাধিকার ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং তিনি লুটেরা ধণিকদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বগুড়াবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

জনসভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।-খবর বিজ্ঞপ্তী

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD