April 26, 2024, 10:56 am

জলঢাকায় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত

যমুনা নিউজ বিডিঃ দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর জলঢাকায় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত।

গত কয়েকদিন ধরে উপজেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। আর এই শৈত্য প্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের সহজ সকল পেশার মানুষসহ কোমলমতি শিশু ও বয়স্করা। ।

আবহাওয়া দপ্তর বলছে এই অবস্থা আরো দুই থেকে তিনদিন বিরাজ করবে।

এদিকে শীতের তীব্রতার ফলে গরম কাপড়ের অভাবে খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করেন দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। অন্যদিকে হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

গোলমুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তার বড়বাধ এলাকার শামিম আহম্মেদ জানান, আজ প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বাহে। তারপরও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বাহির হয়েছি। যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমাদের মতো গরীবদের ঘরের বাহির হতে হয়। ঘরেরর বাহির না হলে যে আমার মতো গরীবদের সংসার চলবে না।

কৈমারী ইউনিয়ন গাবরোল ঝগড়ার ডাঙ্গা এলাকার সুচিত্রা রানী রায় জানান, ঠান্ডায় তার ২৬ মাস বয়সী সন্তান চারদিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছে। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। তার এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে শিশুরা ডায়রিয়ায়সহ শীতজনিত রোগে ভুগছেন।

শৌলমারী বানপাড়া এলাকার মাসুদ আহমেদ জানান এ-ই শীতে আমার মতো গরীবদের কেউ দেয় না একটা গরম কাপড়। তাই আমাদের মতো দারিদ্র্য মানুষের পাশে গরম কাপড় নিয়ে দাড়ানোর আহবান জানান।

ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানবৃন্দ জানান এ-ই উপজেলার বাসিন্দারা খুবই গরীব।আর আমরা যে কম্বল বরাদ্দ পাই তা খুবই নগন্য তার দিয়ে সকলের চাহিদা পুরন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তারা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান

জলঢাকা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মেসবাহুর জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ অনেক বেশি। তারপরও গুরুত্বসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD