September 20, 2024, 7:07 am
চট্টগ্রাম থেকে কামরুল ইসলামঃ দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে থাকা আমদানি পণ্য ভর্তি একটি কন্টেনারে তিনটি উন্নত মানের এয়ারগান পাওয়া গেছে। একই সাথে পাওয়া গেছে দুটি মনোকুলার (বন্দুকে লাগিয়ে শিকার টার্গেট করার দূরবিন ধরনের যন্ত্র)। এয়ারগানগুলো কে বা কারা এনেছে, কখন এনেছে, সচল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল রোববার বন্দরের গুপ্তখাল সাউথ কন্টেনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় এয়ারগানগুলো পাওয়া যায়। শুরুতে এগুলোকে বন্দুক বলে মনে করা হলেও পরে এয়ারগান হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের একাধিক কর্মকর্তা কন্টেনারে এয়ারগান পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সূত্রে জানা যায়, আমদানি করেও সময়মতো খালাস না করা কন্টেনারের ইনভেন্ট্রি করার সময় কাগজে মোড়ানো অবস্থায় তিনটি এয়ারগান পাওয়া যায়। আমদানির পর খালাস না নেওয়া একটি কন্টেনারে থাকা পণ্য গণনা করার সময় অস্ত্রগুলো পাওয়া যায়। নিলামের আগে কন্টেনারে থাকা সব পণ্য খুলে গণনা করা হয় বলে এক কর্মকর্তা জানান। এয়ারগানগুলো পাওয়ার খবর পেয়ে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এগুলো যে পাখি শিকারের এয়ারগান তা নিশ্চিত হন। এয়ারগানগুলোর বডির দুয়েক জায়গায় জং ধরলেও সেগুলো সচল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনো শৌখিন পাখি শিকারি ব্যাগেজ রুলের আওতায় চালানটি বন্দরে এনেছেন। শুল্কায়ন জটিলতা কিংবা অন্য কোনো কারণে চালানটি খালাস না করায় বছরের পর বছর বন্দরের কন্টেনারে পড়ে রয়েছে। বিদেশি এবং প্রবাসীরা লাগেজ রুলের এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। কাস্টমসের আরেক কর্মকর্তা জানান, কন্টেনারটিতে অনেকের পণ্য ছিল (এলসিএল কন্টেনার)। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা, কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে বন্দরে এসেছে, এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমদানি- রপ্তানি নিলামের সব কন্টেনার বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের হেফাজতে থাকলেও ইনভেন্ট্রিকালে পাওয়া অস্ত্রগুলো পুলিশ হেফাজতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।