June 4, 2023, 6:38 pm
যমুনা নিউজ বিডিঃ গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার বৈশ্বিক নেতিবাচক প্রভাবমুক্ত থাকতে পারেনি বাংলাদেশ। বড় ধাক্কা লাগে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে। মার্চ থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করলেও এখন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে ধাক্কার নেতিবাচক দিকটি। কেননা ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে চাহিদা কমায় পোশাকের ক্রয়আদেশে পড়েছে লাগাম। চট্টগ্রামের উদ্যোক্তারা বলছেন, ওভেন এবং নীট দুইখাতেই অর্ডার কমেছে ২০ ভাগের বেশি।
বিজিএমইএ’র সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রভাব না পরলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বরে আমাদের প্রচুর পরিমাণে অর্ডার কমে গেছে। প্রায় ৫০ শতাংশে চলে আসছে। একেতো অর্ডার কম, তার ওপর বায়ারদের ব্যয় কমানোর চাপ। এমন বাস্তবতায় বিদ্যুৎ সংকট, তেলের দাম বৃদ্ধির ধকল আর লজিস্টিক খাতে চার্জ বাড়ায় অন্ধকার দেখছেন উদ্যোক্তারা। ক্রয়আদেশ কমায় এরইমধ্যে অনেক কারখানা কমিয়েছে কর্মঘন্টা। ক্ষীণ হয়ে এসেছে সাবকন্ট্রাক্টের পরিসরও। ফলে বেকায়দায় অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান। বিকেএমইএ’র পরিচালক গাজী মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, করোনার সময় যেমন নীতিমালা ছিল এখন তেমন না হলে দীর্ঘমেয়াদি টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে যাবে। চট্টগ্রামে এখন চালু আছে ৩ শতাধিক কারখানা। নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে উল্লেখ করে উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনসহ নিয়মিত ব্যয় মিটিয়ে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।