April 25, 2024, 6:54 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার ডিবি পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে বগুড়া সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালয়ে তিন নারীসহ ওই ৪ প্রতারককে গ্রেফতার করে। তারা হলো- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সংসারদীঘির সোহরাফ আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৬), একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের মৃত আলমগীর হোসেন ওরফে আলমের স্ত্রী রুনা আক্তার (৪২), সদরের পূর্ব পালশার ফরহাদ শেখের স্ত্রী আমেনা খাতুন ওরফে রেশমী (৪০) এবং গাবতলীর মহিষাবান সাতঘড়িপাড়ার আব্দুল লতিফের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ঝিনুক ওরফে ঝিনুক মালা(৩৭)।
ডিবি পুলিশ জানায়, সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিরা অপহরণকারী ওই চক্রের টার্গেট ছিলো। এরপর বিভিন্ন বাহানায় তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা হতো। তারপর কৌশলে ভাড়া বাসায় ডেকে এনে জোড় করে অশ্লীল ছবি, ভিডিও করে রাখতো তারা। পরে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে আদায় করা হতো লাখ লাখ টাকা। যারা টাকা দিতে রাজি হয় না তাদের প্রাণ নাশের হুমকিও দিতো এই চক্র।
সর্বশেষ মনিরুল ইসলাম (ছদ্মনাম) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তাকে একই কৌশলে অপহরণ করে আটকে রাখে এই চক্রের সদস্যরা। ১৬ মার্চ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মকর্তা। তখন তিনি বগুড়া সদর থানায় এই চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ওই কর্মকর্তার মামলা দায়েরের পর বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ডিবির একটি টিম অভিযান ওই চক্রকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে। অভিযানকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপহরণ চক্রে মূলহোতাসহ ওই ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ও ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার হওয়া ওই চারজনই চাঁদা ও মানব পাচারের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে ১ নং আসামী নাছির উদ্দিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এছাড়াও ২ নং আসামী রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা রয়েছে।