March 23, 2023, 5:30 pm
যমুনা নিউজ বিডিঃ সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে, সেখানে কোনোক্রমেই পশুর হাট বসানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (২৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি। পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে এই সভা আয়োজিত হয়।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ এবং স্থান পরিষ্কার করার জন্য সব সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম বলেন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে পশুর হাট বসবে বলে জানান তিনি। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা পৌর মেয়র, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, করোনার মহাসংকটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ঈদে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। এই বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমণের হার কম ছিল। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এবারের পশুর হাট বসাতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কোরবানির হাট বসাতে হবে। পাশাপাশি এ বছরও অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পশুর হাট, বাজার ব্যবস্থাপনা, দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনসাধারণ পাশে দাঁড়াতে হবে।
গত বছরের মতো পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি, দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ কোরবানির পশুর হাটে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ বিষয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে।
সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরা অন্যান্যের মধ্যে অনলাইন সভায় অংশ নেন।