March 29, 2024, 5:22 am

বগুড়ায় নারীদের গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতির দাবিতে সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তীঃ একজন নারী দিনে ৪৫ ধরনের গৃহস্থালি কাজ করেন। এভাবে তারা বছরে ১১ লাখ কোটি টাকার কাজ করে থাকেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জাতীয় আয়ে তাদের এ অবদানের কোনো স্বীকৃতি মেলেনি। এবারের বাজেটেও গৃহের নারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

এ কথাগুলো জানান সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের বগুড়া শাখার সভানেত্রি দিলরুবা নূরী। রোববার বেলা ১২ টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দাবি করেন তিনি।

নারীর মজুরীবিহীন গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য নিরুপনের দাবিতে এই সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।

সমাবেশে দিলরুবা নূরী বলেন, দেশের সাড়ে ৮ কোটি নারীর ৯০ ভাগই গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত। কিন্তু সিপিডির ২০১০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে একজন নারী দিনে ৪৫ ধরনের গৃহস্থালি কাজ করেন। এভাবে দেশের সব নারীদের হাতে বছরে ১১ লাখ কোটি টাকার কাজ হয়ে থাকে।

কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এই গৃহস্থালী কাজের কোনো আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। অথচ এই শ্রমের মূল্য জাতীয় আয়ের অংশ করা উচিত ছিল।

সভানেত্রী আক্ষেপ করে বলেন, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে নারীর ক্ষমতায়নের গল্প করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো স্বীকৃতি নেই। যদি তাই হতো এবারের বাজেটে নারীর গৃহস্থালী কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করত সরকার। অথচ এই দেশের সরকার প্রধান একজন নারী, বিরোধীদল প্রধানও একজন নারী।

সমাবশে বাসদের জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টু জানান, দেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমতা বিধানের কথা বলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের শাসকগোষ্ঠী এই সমতার বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। আমরা শুধু মুখে বলি-নারীরা অগ্রদূত। কিন্তু মজুরীর ক্ষেত্রেই আমাদের বৈষম্য নজরে উঠে আসে।
সাইফুল ইসলামের দাবি, নারীদের গৃহস্থালী কাজের মূল্য না দিক; অন্তত স্বীকৃতি দেয়া হোক। তারা যে শ্রম দিচ্ছে তার জাতীয় আয়ে কী অবদান রাখছে তার একটা মূল্যায়ন থাকুক।
মহিলা ফোরামের আয়োজিত এ সমাবেশে অন্য ব্ক্তারা বলেন, যে সমাজে নারীদের মূল্যায়ন করে না। তাদের অধিকার, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। তারাও উন্নত হতে পারে না।
প্রায় ৬ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটে অন্তত ২ লাখ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এ বাজেটে নারীর কী উন্নয়ন করবে। বাজেটে আমাদের দাবি ছিল-গ্রামীন নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা। এসবের কিছুই করা হয়নি।
গৃহস্থালী কাজের আর্থিকমূল্য নিরুপনের দীর্ঘদিনের দাবি সেটিও রাখা হল না। অন্তত তাদের অবদানের একটা স্বীকৃতি দিলেও বোঝা যেত সরকার প্রকৃতই নারীর উন্নয়নের, ক্ষমতায়নের পক্ষে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD