March 29, 2024, 4:45 am

ছাগলে ঘাস খাওয়ার মালিক খুন, ফাঁসির দাবিতে বগুড়ায় মানবন্ধন

শাজাহানপুর প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ছাগলে ঘাস খাওয়া নিয়ে  আব্দুল হানিফ নামে ৪০ বছর বয়সী এক অটোচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় খুনিদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমবাশে করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই উপজেলার মাদলা বন্দর এলাকায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। এতে পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী অংশ নেন। তাদের বিক্ষোভ মিছিল মাদলা বন্দর এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মাদলা চাঁচাইতারা গ্রামে ছুরিকাঘাতের শিকার হন হানিফ ও তার ছেলে জাকিরুল। পরে তাদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেন স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন তার ছেলে।

নিহত হানিফ মাদলা চাঁচাইতারা  গ্রামের মোহাম্মদ খোকা প্রামাণিকের ছেলে। নিহতের হানিফের ২০ বছর বয়সী ছেলের নাম জাকিরুল।

ছুরিকাঘাতে হতাহতের ঘটনার পর বুধবার বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম। মামলায় একই গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লা ও তার দুই ছেলে মজনু ও আব্দুল মজিদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে জান্নাতি নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার দিনই তাকে আটক করা হয়। মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ।

তুচ্ছ ঘটনায় হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানবন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাদলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম আতিক, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, বগুড়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুল আলম, নিহতের বাবা মোহাম্মদ খোকা প্রমাণিক, স্ত্রী জরিনা বেগম, মটর শ্রমিক নেতা আব্দুল খালেক, শ্রমিক নেতা আব্দুস সোবহান পুটু, আব্দুল হামিদ, স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন, ইমরান হোসেন, ইনছান প্রামাণিকসহ আরো অনেকে। সমাবেশে বক্তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদলা চাঁচাইতারা গ্রামের আবুল কাশেম নিজ বাড়ির সামনে ঘাসের চাষ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে হানিফের ছাগল কিছু ঘাস খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে ছাগলটির মালিক হানিফের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন কাশেম। এ সময় হানিফের ছেলে জাকিরুলসহ আবুল কাশেমের দুই ছেলে মজনু ও মজিদও ছিলেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হানিফ ও জাকিরুলকে মারধর শুরু করেন কাশেমসহ তার ছেলেরা। এর মধ্যেই বাবা-ছেলেকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন তারা। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এসআই মো. শামীম আহমেদ জানান, হত্যাকাণ্ডে করা মামলায় এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আশা করছি শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD