July 27, 2024, 5:07 am

জিয়ার ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এটাকে তারা মুছে ফেলতে চায় : ফখরুল

যমুনা নিউজ বিডি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সৈনিক জিয়ার ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এটাকে তারা মুছে ফেলতে চায়। আওয়ামী লীগ শুধু একজন মানুষকে মহিমান্বিত করার জন্য তাদের পুরো ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করে মহিলা দল। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগের আসল চেহারা বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত কিছুদিন পত্রিকা খুললেই বেনজীরের নজিরবিহীন দুর্নীতি। একইসঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান। তাকেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিয়েছে। আর তাদের তথাকথিত সংসদ সদস্যকে কলকাতায় নিয়ে টুকরো-টুকরো করেছে। এই হচ্ছে তাদের (আওয়ামী লীগের) চেহারা।’

এখন সেনাবাহিনীর অবস্থায় কোথায়-এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন তার সাবেক প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা কোথায় থাকে যখন তাদের সাবেক প্রধানকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়। কার সম্মান কোথায় থাকে। আজ এরা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম পাবনায় ২টি গরু বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়। এদিকে মানুষ ডিম কিনতে পারছে না। বাচ্চাদের ডিম দিতে পারছে না। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারছে না। অন্যদিকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনছে। এটা কেন? এই দেশের অর্থনীতিকে এমন জায়গা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ধনীকে আরও ধনী করছে। আর গরিবকে আরও গরিব করছে।’

আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সৈনিক জিয়ার ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এটাকে তারা মুছে ফেলতে চায়। আওয়ামী লীগ শুধু একজন মানুষকে মহিমান্বিত করার জন্য তাদের পুরো ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। কিন্তু কী করে অস্বীকার করা যাবে যার ঘোষণায় আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। যারা এটা করতে চায়, এটা যে তাদের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা সেটা প্রমাণ হয়।’ জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা বিএনপি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘তার আদর্শ সবচেয়ে বড়। এখানে আরেকজনের কথা বলতে চাই, তিনি হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। যুদ্ধের সময় ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। আমি যখন তাকে বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলি, তখন আওয়ামী লীগের গাজ্বালা করে। কারণ তাদের নেত্রী তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। আমি কারো সমালোচনা করতে চাই না, যার যে অবদান সেটা স্বীকার করে নেওয়াই হচ্ছে মহত্ত্বের লক্ষণ।’

আওয়ামী লীগ ১৯৭১-৭৫ সাল পর্যন্ত শাসনকালে ৩০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নারীর ওপর নির্যাতন করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এখন তারা নারীর ওপর নির্যাতন করতে দ্বিধা করছে না। আজ যারা জেলে গেছেন, সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের অপরাধ কী? অপরাধ তো একটাই স্বাধীনতা চাই, কথা বলতে চাই, ভোট দিতে চাই। এখানে আওয়ামী লীগের আপত্তি, তারা এগুলো দেবে না।’ প্রাথমিক স্কুলের বইতে সরকার মিথ্যা প্রচার করে চলছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘সেখানে একজনের নাম ছাড়া কারো নাম নেই। সেখানে তাদের নেতা তাজউদ্দীন আহমদের নাম নেই। জেনারেল ওসমানীর নামও নেই। কেউ নেই। এক নেতা, এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এটাই তারা আজ প্রচার করছে। তারা দীর্ঘকাল ধরে দেশকে শোষণ করছে, দুর্নীতি করছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD