July 27, 2024, 4:45 am
ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করতে দীর্ঘ দিন একটি সিন্ডিকেট বগুড়ায় সক্রিয় ছিল। ভ্রাম্যমান আদালত বৃহস্পতিবার বগুড়ার একটি হিমাগারে অভিযান চালাতে গিয়ে এম তথ্য পাওয়া গেছে। এই সিন্ডিকেট বগুড়ায় কাহালু উপজেলার মুরইল উপজেলায় আরাফিন নামে এক কোল্ডষ্টোর। বুধবার অভিযান পরিচালনা করে ৫ লাখ ডিম অবৈধ মজুদ ডিম উদ্ধার করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ডিমের অবৈধ মজুদের কারনে কোল্ডষ্টোরের ম্যানেজারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: মেরিনা আফরোজ জানান, তাদের ও ফল সংরক্ষনের লাইসেন্স ছিল। তবে তারা কত দিন পর্যন্ত ডিম সংরক্ষণ রাখতে পারবে বিষয়টি জানেন কৃষি বিপনন কর্মকর্তা।
বুধবার বিকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছ, মেরিনা আফরোজ মুরইলে আফরিন কোল্ড ষ্টোরে প্রবেশ করে দেখেন কোল্ডষ্টোরটি যেন ডিমের খনি। এরপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হিমাগারের ম্যানেজার মমতাজুর রহমানের কাছ থেকে জরিমানার ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয় এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই ডিম বিক্রি না করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, হিমাগারে পৃথক পৃথক চেম্বারে ডিম ও ফল রাখা ছিল। তাদের কাছে আলুর হিমাগারে ডিম, আলু ও ফল রাখার চেম্বার সংরক্ষনের লাইসেন্স ছিল।
এ দিকে কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মমতা হক জানান, ডিম বা ফল রাখার পৃথক পৃথক লাইসেন্স আছে। ডিম বা ফল সংরক্ষনের নামে দীর্ঘ সময় মজুদ রাখা সম্পূর্ণ অর্বেধ।
এদিকে ঈদুল ফিতরের আগে মৌখিক ভাবে ডিম ৭ দিনে জন্য সংরক্ষনের জন্য রেল লাইন বাজারের ডিমের ব্যবসায়ী নূরুন নবী, আব্দুস সামাদ, মো: শহিদুল ইসলাম, মো: ফরহাদ ও জহুরল ইসলাম নামের ব্যবসায়ীরা অনুমতি চায়।
এবিষয়ে তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ ডিম দীর্ঘদিন দীর্ঘ সময় মজুদ রাখার জন্য কোন মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বগুড়া শহরের কাঠালতলা রেল লাইনের কাছে কয়েকজন ব্যবসায়ীরা ঈদ উল আজহার আগে এসে তারা ৭ দিনে জন্য রাখবে বলে এমন অনুমতি চায়। পরে তারা ৭ দিনে পরিবর্তে একমাসের অধিক সময় হিমাগারে ডিম মজুদ রেখে বাজার অস্থিতিশীল করে ফেলে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ মজুদ।