April 20, 2024, 9:58 am
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় অনিবন্ধিত কিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতর এব পৃথক অভিযানে ৪টি কিনিককে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে দুইটি কিনিক সিলগালা করা হয়।
জানা গেছে, রোববার জেলা শহরের খান্দার ও কৈগাড়ী এলাকায় ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টে্রট মোঃ সজিব মিয়া। এসময় খান্দার এলাকায় অবস্থিত নাজমা জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আদালত পরিচালনাকালে সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন ও সিপ্রক্স যা ২০২০ সালের ছিল এবং অনুন্নত পরিবেশে সেবা দেয়ার অপরাধে ৭০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অনুন্নত সেবার মান, সঠিক তাপমাত্রায় ঔষধ সংরণ না করায় কৈগাড়ীতে অবস্থিত লাইফ কেয়ার হসপিটালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরণ আইন—২০০৯ এর ধারায় এই জরিমানা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ দিবাকর বসাক, ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতর বগুড়ার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী, বগুড়া পৌরসভার সেনিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ শাহ আলী খান।
এদিকে রোববার বিকেল ৪টা থেকে ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতর বগুড়ার সহকারী পরিচালকের নেতৃত্ব শহরের তিনমাথা ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনের এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে তিনমাথা এলাকায় অবস্থিত কনফিডেন্স জেনারেল হসপিটাল এন্ড ভাই বোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন অনুমোদন না থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর শজিমেক হাসপাতালের সামনে দিগন্ত ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতর। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানেরও অনুমোদন না থাকায় ও নিবন্ধন না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিলগালা করে দেয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতর বগুড়ার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের কোন অনুমোদন ও নিবন্ধন নেই। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।