May 4, 2024, 8:33 am

News Headline :
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ১২ মে সিরাজগঞ্জ কামারখন্দে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত-০১ আহত-০২ সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জনসহ ২১জনের মনোনয়ন দাখিল মার্কিন ভোটারদের প্রায় ৪০ শতাংশ তাদের দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছে: জরিপ বগুড়ার এডওয়ার্ড পার্ক উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধণে নাগরিক পরামর্শ ও সভা অনুষ্ঠিত অপতথ্য ও অর্ধসত্যের মাঝে মুক্ত গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ পূর্বাচলে অর্ধেকের বেশি প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন প্রবাসীরা যাত্রাবাড়ীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ১১

ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় কৃষক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: চলতি বছরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পড়তে হবে লোকসানের মুখে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরসহ বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর এবং আগানগরের ডিগচর অন্যতম। চলতি বছরে ভৈরবে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

আবাদকৃত জমির মধ্যে আগাম জাতের বিআর ২৮, ৮৮ ও বঙ্গবন্ধু ধান অন্যতম। তবে, ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের আগাম জাতের ১০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে।

কৃষকদের দাবি, ধান উৎপাদনে সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। ফলে লোকসান দিয়েই তাদেরকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।

ধানের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মোটা বোরো ধান ৭৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখনও বাজারে চিকন ধানের আমদানি শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই কৃষকের। অথচ, সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৮০ টাকা দাম পড়ে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।

উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরের কৃষক ছানু মিয়া বলেন, জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি ফসল ঘরে তুলতে পারব।

আবুল মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, জমি চাষাবাদ, সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে যে হারে উৎপাদন খরচ পড়ে, সে হিসেবে আমরা ন্যায্য দর পাই না। তাই, কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার দাবি করছি।

এদিকে হাওরের কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইচ গেটসহ কাচা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে কৃষকরা সহজে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এ ছাড়াও সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD