May 11, 2024, 8:40 am
যমুনা নিউজ বিডি: এবার বিপিএলে ট্রফি নিয়ে ফটো সেশন হয়েছে দুবার, দুবারেই ছিল নতুনত্ব। বিপিএল শুরুর আগে গত ১৭ জানুয়ারি সেনানিবাসে সাত বীরশ্রেষ্ঠের ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিনায়ক ও প্রতিনিধি দশম বিপিএলের ট্রফিকে সামনে রেখে অংশ নিয়েছেন ফটোসেশনে।
তার ৪২ দিন পর বৃহস্পতিবার আহসান মঞ্জিলে হয়েছে দুই ফাইনালিস্টের প্রতিনিধিকে নিয়ে ট্রফির ফটোসেশন। শুক্রবার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল টি-২০ কে সামনে রেখে এই ট্রফি ফটোসেশন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-ফরচুন বরিশাল সমর্থকদের কৌতুহল বাড়িয়ে দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
তবে বিপিএলের ফাইনালকে ঘিরে আহসান মঞ্জিলে এই ট্রফি সেশন অনুষ্ঠানে পূর্ণতা পায়নি।দুই ফাইনালিস্ট ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক লিটন দাস ছিলেন না এই ট্রফি সেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত।
সকাল ১০টায় পুরাতন ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিলের প্রবেশ পথে সিড়ির উপরে ট্রফি সেশনের কথা থাকলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে এক ঘন্টা পর।
নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের গাড়িতে হাজির আহসান মঞ্জিলে হাজির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশালের দুই ক্রিকেটার।
ট্রফি সেশনে অংশ নিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পাঠিয়েছে বিপিএলের চলমান আসরে অনিয়মিত ক্রিকেটার জাকের আলী অনিক, ফরচুন বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন দলটির সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ-অনিক এসে প্রথমে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের হয়ে শুটিংয়ে অংশগ্রহন করেছেন। শুটিং শেষে অংশগ্রহণ করেন ফটোসেশনে।
ফটো সেশনে উপস্থিত থাকতে না পেরে ফেসবুকে পোষ্ট লিখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তামিম ইকবাল-‘বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি। এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না।আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।’
তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক লিটন দাস ফাইনালে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারার কোনো কারণ জানাননি।