May 1, 2024, 6:33 am
কক্সবাজার প্রতিনিধি: টানা চার দিনের ছুটিতে সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছেন কয়েক লাখ পর্যটক। সমুদ্রসৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে লাখো পর্যটকে পরিপূর্ণ। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সমুদ্রের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পর্যটকদের চাপে শহরের বাসটার্মিনাল, কলাতলীর ডলফিন মোড়, সুগন্ধা পয়েন্ট, লিংকরোড়, বাজারঘাটা ও লালদিঘীর পাড়ে যানবাহনের তীব্র জটলার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, অগ্রিম হোটেল কক্ষ বুকিং না দিয়ে কক্সবাজারে চলে আসায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। অভিযোগ রয়েছে পাঁচগুণ বেশি দামে হোটেল রুমের ভাড়া আদায় করার। অধিকাংশ রেস্তোরাঁ নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা চারদিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। তাই এ সময়ে অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ থাকবে কক্সবাজারে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকের চাপ কমে আসবে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টোয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, এখানকার প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে চার লাখের বেশি পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ রয়েছে। যেসকল পর্যটক রুম পায়নি, তারা আগে থেকে হোটেল রুম বুকিং দেয়নি বলে এই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সরকারি টানা কয়েক দিনের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলে কোনো রুম খালি নেই।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, রুম ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগটি আমরা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পর্যটক হয়রানি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।