October 11, 2024, 6:33 am
সৌরভ মাহমুদ হারুন: দিনে কুমিল্লা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান জেল জরিমানা ও মাটি কাটার ছবিসহ সংবাদ প্রকাশের ভয়। আর তাই নিয়মিত প্রতিরাতে বিভিন্ন সড়কে পাহাড়া বসিয়ে আবাদি জমির মাটি কাটা হয়। ফলেই স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের সত্যতা থাকলেও উপজেলা সদর থেকে পথের দুরত্ব এবং অন্ধকারে বিলের মাঝে মাটি কাটার সময় হাতেনাতে ধরা প্রায় অসম্ভব। কারন তথ্য রয়েছে, জেল জরিমানা, গাড়ি ও মালামাল জব্দ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা পরিষদের গেইট থেকে শুরু করে যাতায়াতের প্রধান প্রধান সড়কের কয়েক কিলোমিটার দুরত্বে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের নিয়োগকৃত পাহারাদার রয়েছে। তাদের কাজ, জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখলেই মূল পয়েন্টে ফোন করে সতর্ক করা। সাথে সাথে পয়েন্ট ও সড়ক থেকে নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে ফেলা হয় এক্সকেভেটর এবং মাটিবাহী গাড়ি। ফলেই রাতের আধারে অপরাধীদের হাতেনাতে ধরা কঠিন চেলেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
কৃষক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে, ফসলী জমির মাটি কাটা বন্ধ করতে, এই অসম্ভব কে সম্ভব করে দেখিয়েছেন বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছামিউল ইসলাম। নির্বিচারে আবাদী জমি ধ্বংস করে উর্বর অংশের (টপ সয়েল) মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি, পুকুর ও জলাশয় ভরাটের অবৈধ মাটি ব্যবসায় জড়িতদের আতংক কৃষিবান্ধব এই কর্মকর্তা।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে (মঙ্গলবার) ১৯ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাতে বেরিয়ে পরেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে। ময়নামতি ইউনিয়ন এর কাটাজাঙ্গাল (কুমারগাতা) এলাকায় গিয়ে অবহিত করেন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশকে। তবে ফসলের মাঝ মাঠে অন্ধকারে দেখা মিলছিলো না এক্সকেভেটর ও ড্রামট্রাকের। প্রধান সড়ক থেকে ভেতরের সড়কে সিএনজি ঢুকতে দেখেই বাতি নিভিয়ে সরিয়ে ফেলা হয় এক্সকেভেটর। পরে তল্লাশি করে পাওয়া যায় এক্সকেভেটর।
অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী রুবেল ও তার সহযোগী রাসেল কে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এবং মাটি কাটায় ব্যবহৃত এক্সকেভেটরটি জব্দ করে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি না কাটার বিষয়ে কঠোর ভাবে সতর্ক করা হয়।
উক্ত অভিযান বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের একটি টিম ও ময়নামতি ইউপি’র সদস্যগণ সহযোগীতা করেন। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন এর এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছামিউল ইসলাম।