October 11, 2024, 9:59 am
শাজাহানপুর প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ৬০ বিঘা জমির আধা-পাকা ইরি ধান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের জন্য শাজাহানপুর ইউএনও’র সাথে দেখা করার পর সোমবার শাজাহানপুর ইউএনও আসিফ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং অভিযুক্ত সিরাত ব্রিকস কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া ইটভাটার মালিক শফিকুল ইসলাম শিনুর ৩ লক্ষটাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসিক খান। মঙ্গলবার শাজাহানপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামে সরজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত ৩-৪ দিন আগে সিরাত ব্রিকস ইটভাটার আগুন নিভানোর পর ভাটার চিম্মি থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে নিমিশেই আশে পাশের সবজি ক্ষেত ও ধান ক্ষেতের আধা-পাকা ধান পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান তার ৪ বিঘা জমির ইরিধান আধা-পাকা ছিল। গত ২২ মে ধান ক্ষেতে সেচের পানি দিতে গিয়ে দেখা যায় সব ধান গাছ পুড়ে গেছে জমির পার্শ্ববর্তী ইটভাটা সিরাত ব্রিকস এর বিষাক্ত গ্যাসে। এখন কি ভাবে সেচের টাকা পরিশোধ করবো, আর নিজেরা কি খেয়ে বাঁচবো। আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান এব্যাপারে জানান সিরাত ব্রিকস ইটভাটা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া ছাড়ার কারণে ৫০ জন কৃষকের ৬০ বিঘা জমির ইরি ধান বিনষ্ট হয়েছে। তিনি আরও জানান ইটভাটা নির্মাণের জন্য ইউনিয়র পরিষদ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সিরাত ব্রিকস এর মালিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পূরণ না দিয়ে টালবাহানা করছেন বলে এলাকার কৃষকরা আমাকে অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে শাজাহানপুর উপজেলার কৃষি অফিসার নুরে আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস কাজ করছেন, এখন পর্যন্ত ৬০ বিঘা জমির ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। প্রতি বিঘায় কমপক্ষে ২০ মনকরে ধান হয়। প্রতিমণ ধান ১১ শত টাকা করে বাজার দর রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধান, সবজি, বাঁশঝাড়, গাছপালা সহ সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি পূরণের টাকা না দিলে ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বগুড়ার শাজাহানপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ২০/২৫টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর।