December 8, 2023, 9:44 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ২১ দিন আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ)। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা তীব্র ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাছাড়া রোগটি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তাদের আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউকেএইচএসএ জানিয়েছে, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সমকামী ও উভকামী পুরুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। তাই ভাইরাসটি নিয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেন ভ্রমণ এড়িয়ে চলে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা ব্যক্তি যেমন গর্ভবতী নারী ও ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাছাকাছি আক্রান্তদের আসতে নিষেধ করেছে ইউকেএইচএসএ। আক্রান্তদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য তাদের বিস্তারিত বিবরণ সরবরাহ করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, রোগটির বিস্তার যেন কমানো যায় সে বিষয়ে সামনের দিনগুলোয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে বর্তমানে মোট ২১ জন এ রোগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, সব মিলিয়ে বলা যায়, রোগটি বিরল। আমরা খুব সতর্কভাবে সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। এখন পর্যন্ত যেসব সংক্রমণের তথ্য আমরা পেয়েছি তাতে এ রোগ প্রাণঘাতী প্রমাণিত হয়নি। পরিস্থিতির দিকে খুব কাছ থেকে নজর রাখতে যুক্তরাজ্য হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি একটি নতুন বডিও গঠন করেছে। বিরল একটি ভাইরাসের সংক্রমণে মাঙ্কিপক্স নামে রোগটি হয়। সাধারণত কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম আফ্রিকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। প্রথমে বানরের শরীরে শনাক্ত হওয়া রোগটি খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়ায় না। কিন্তু খুব কাছাকাছি শারীরিক সংস্পর্শে বা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে উচ্চমাত্রায় জ্বর, ব্যথা এবং ছোট ছোট ফুসকুড়ি পরে ফোস্কায় রূপান্তরিত হয়। যদিও সাধারণত এসব হালকাই থাকে এবং দুই-চার সপ্তাহের মধ্যে মিলিয়ে যায়। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে তারা যারা পিপিই না পরে আক্রান্ত ব্যক্তির খুব কাছাকাছি যায় অথবা শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হয় বা বিছানা পরিবর্তন করে। তবে তীব্র ঝুঁকিতে না থাকারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এলে নিজেদের আইসোলেট করার দরকার নেই, কিন্তু তাদের লক্ষণগুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।