October 26, 2024, 4:46 pm
যমুনা নিউজ বিডি: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতারে ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে কমপক্ষে ১০০ ইসরায়েলি সেনা অভিযান চালিয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
অভিযান শুরু পর পরই বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।
হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস।
ঘাঁটি হিসেবে আল-শিফা হাসপাতালকে ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও অপপ্রচার বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে হামাস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আল-শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযানের জন্য দখলদার ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণভাবে দায়ী। আল-শিফা হাসপাতালকে হামাস সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে—ইসরায়েলের এমন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই হাসপাতালে অভিযান চালানোর জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে পেন্টাগন; আর তার ফলাফল চলমান এই অভিযান। ’
গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হাসপাতালগুলোর সাধারণ পরিচালক ডা. মুনির আল-বুরশ আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালের বেসমেন্টে তল্লাশি চালিয়েছে।
হাসপাতাল কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত অস্ত্রোপচার কক্ষ ও জরুরি (ইমার্জেন্সি) বিভাগেও তারা প্রবেশ করে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের করিডোর ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখানে অবস্থানরত কিছু লোকের ওপর গুলি চালানো হয় বলেও তিনি দাবি করেন।
আল-বুরশ বলেন, “অথচ এ সময় হাসপাতালের ভেতর থেকে কিন্তু একটিও গুলি চলেনি।”
গত কয়েকদিনে অবরুদ্ধ গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা ও লড়াইয়ের পর এই প্রথম সরাসরি আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করলো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের দাবি, ‘হামাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট টার্গেট’ রেখেই এই অভিযান। সে লক্ষ্যে স্থানীয় সময় গত রাত ২টায় আল-শিফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তারা। এ সময় হাসপাতালের বাইরে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন ছিল।
ইসরায়েল বরাবরই বলে আসছে, আল-শিফা হাসপাতালটিকে নিজেদের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছে হামাস। এবং এই হাসপাতালের নিচে তাদের একটি অপারেশন বেসও রয়েছে।
ফিলিস্তিনের বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রবেশের পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা আল জাজিরাকে বলেন, “এ হাসপাতালে কেবল ডাক্তার, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষেরাই রয়েছে।”
“আমাদের ভয় পাওয়ার বা লুকানোর কিছুই নেই।”
গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, আল-শিফায় বর্তমানে প্রায় ৭০০ রোগী, ৪০০ হাসপাতালের কর্মী এবং ৩,০০০ বেসামরিক নাগরিক অবস্থান করছেন।