July 27, 2024, 1:50 am
পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর পাংশায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী।
জানা যায়,উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই তলার উপরে একটি কক্ষ নির্মাণের জন্য প্রায় ১১ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করে স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী। টেন্ডারটি পায় একই উপজেলার সরদার ইন্টারপ্রাইজ মোঃ মোতাহার হোসেন নামে এক ঠিকাদার।তবে নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিন্ম মানের ইট,সুরকি ও ঢালাই কাজে স্টিল মেটাল ব্যবহার করার থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ আর অভিযোগ তোলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তার একদিন পরেই আবারো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পরে সাংবাদিকরা ঘঠনা স্থলে গেলে নির্মাণ শ্রমিকেরা তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের সামগ্রী সারানোর চেষ্টা করে।
এ সময় নির্মাণ শ্রমিকেরা বলেন, আমরা যা কাজ করছি সবই এক নাম্বার শুধু ইটের খোয়া দুই নাম্বার। কলম এর ঢালাই এর কাজে কাঠ না স্টিল মেটাল ব্যবহার করার কথা রয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন স্টিল মেটাল ব্যবহার করার কথা থাকলেও আমরা কাঠ দিয়ে কলম ঢালাই দিয়েছি।
এলাকাবাসী বলেন, নিম্ন মানে ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করছিল।আমরা নিষেধ করার পরেও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি ।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃআনিসুর রহমান বলেন, ঢালাইয়ের কাজে নিম্নমান ইট, সুরকি ব্যবহার করা হচ্ছিল এজন্য আমি এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
ঠিকাদার মোতাহার হোসেন বলেন, খোয়ার মান এতটা খারাপও ছিল না, আপনারা তো সবই জানেন বুঝেন। এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোঁটা লেবুর রসই যথেষ্ট। ভালো খোয়ার মধ্যে ওই খোয়া গুলো ভেসে উঠছে এই জন্য সব খোয়া রিজেক্ট।আর তিনটি কলম ঢালায়ের কাজ কাঠ দিয়ে করেছি পরে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব জানার পর নিষেধ করেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি ও ঢালায়ের কাজের যে খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে সেই খোয়া পরীক্ষা করা হবে।এর পর আবার নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়া হবে।