July 27, 2024, 2:00 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ী এলাকার মুরগী ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার উপর হামলাকারী মেহেদী হাসান শাওনসহ জড়িত সকলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জয়বাংলা হাট এলাকায় কুটুরবাড়ি গ্রামবাসী এ মানবন্ধনের আয়োজন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন জয়বাংলা হাট বন্দর কমিটির সভাপতি ও হামলার শিকার সেলিমের পিতা মো. গিয়াস উদ্দিন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ছেলের উপর বিনা কারণে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী শাওন। শাওন তার লোকজন নিয়ে প্রায়ই জয়বাংলা হাটে এসে বিভিন্ন দোকানে চাঁদা দাবি করতো। আমরা তাদের বাধা দিলে পরবর্তীতে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সেলিমের হাত এবং পায়ের রক কেটে দিয়েছে শাওন ও তার লোকজন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে সেলিম মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। প্রশাসনের নিকট সন্ত্রাসী শাওনসহ হামলায় জড়িত সকলের ফাঁসির দাবি জানাই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রী জেলা শাখার সভাপতি মো. জাকির হোসেন, জয়বাংলা হাট বন্দরের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, জাহানুর, সিটু মিয়া, খলিলুর রহমান, ফটিক, রতন, শাহিন, রনক, জুয়েল, রেজাউল করিম, আবু বক্কর, দুলাল মিয়া, মিঠু মিয়া, বাবলু মিয়া, সাইফুল ইসলাম, আলম বাদশা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হামলাকারী মেহেদী হাসান শাওন একাধিক মামলার আসামী। সে তার দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তার অত্যাচারে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী অতিষ্ট। সেলিমের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। এসময় এলাকাবাসী শাওনসহ হামলায় জড়িত সকলের ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মুরগী ব্যবসায়ী সেলিমের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মানিকচক এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান শাওনসহ তার দলবল। সেলিম কুটুরবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় সেলিমের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় তারা। এতে সেলিম গুরুত্বর আহত হয়। এঘটনায় সেলিমের পিতা বাদী হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় শাওনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়।