September 30, 2023, 1:11 pm

কুড়িগ্রামে পাটের ফলন ভালো হলেও খুশি নন কৃষক

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে পাটের ফলন ভালো হলেও কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ায় খুশি নন কৃষক। বিভিন্ন হাটবাজারে পাট বিক্রি করতে এসে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক।

বিগত বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও বর্তমান বাজারে পাটের দাম অনেক নিম্নগামী। বর্তমানে মণ প্রতি পাট ১৬০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মুখ্য পাট পরিদর্শক এটিএম খায়রল হক বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাটের দাম ভালো ছিল। এখন পাটের দাম একটু কমেছে। কারণ অধিকাংশ ব্যবসায়ী কারখানায় পাট দিয়ে তাদের পূর্বের টাকা না পাওয়ায় আপাতত পাট ক্রয় বন্ধ রেখেছে। তাই নতুন করে পাট কেনার চাহিদা তাদের কমে গেছে।

যাত্রাপুরহাটের পাট ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত হাটে ভালো পাটের দাম মণ প্রতি ২৩শ’ থেকে ২৪শ’ টাকা ছিল। কিন্তু এখন তা ১৭০০-১৯০০টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। দাম না বাড়লে লোকসানের মুখ দেখতে হবে।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে সপ্তাহে দুইদিন বসে যাত্রাপুরহাট। এ হাটে অনেক দূর দূরান্ত থেকে আসেন পাটচাষিরা পাট বিক্রি করতে। অনেক কৃষক দাম ভালো পাওয়ার আশায় এলেও বাজারে কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।

পূর্বের দিনের হাটগুলোর চেয়ে পাটের মণ প্রতি দাম কমেছে ৩০০-৪০০টাকা। আবাদে খরচ বেশি পড়লেও দাম কম হওয়ায় তাদের লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা নেই বলে জানান অনেকেই।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছত্রপুর এলাকার কৃষক জয়নাল হক বলেন, তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করে অনেক খরচ হয়েছে। সার, পানি, কীটনাশক, আঁশ ছড়ানো মজুরি খরচসহ এক বিঘাতেই ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়।

সেখানে এক বিঘায় আবাদ হয়েছে ৮-১০ মণ পাট। খরচ অনুপাতে পাটের আবাদে এরকম দামে কোন লাভ নেই। পাটের দাম ভালো না পেলে সহজেই কেউ পাট চাষ করবে না।

চর ভগবতীপুরের পাট ব্যবসায়ী আজগার আলী বলেন, আমি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পাট কিনে বিক্রি করি। মণ প্রতি ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনছি। যাত্রাপুরহাটে পাট বিক্রি করতে এসে আসল দামই ওঠছে না। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, হাটের খাজনা হিসেব করলে লাভই থাকে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD