July 27, 2024, 5:37 am

সৌদি আরবে পুড়ে মারা যাওয়া ৪ জনের নিজ গ্রামে দাফন, এলাকায় শোকের মাতম

মঈন উদ্দিন: সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনই রাজশাহীর বাগমারার। বুধবার দুপুরে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। পুরো গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। একে একে সবার জানাযা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আশেপাশের গ্রামের লোকজনও এক নজর মরদেহ দেখতে ভিড় জমায় নিহতদের বাড়িতে।

নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার প্রবাসী গ্রাম নামে পরিচিত বারইপাড়া গ্রামের জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, একই এলাকার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, তার ভাতিজা শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন রুবেল ও বড়মাধাইমুরি গ্রামের আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার।

গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে দাম্মামের হুফুফ শহরে একটি সোফা কারখানা অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নয়জন নিহত হন। এরমধ্যে বাংলাদেশী সাতজন, যাদের চারজন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারইপাড়া ও বড়মাধাইমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

ঠিক দশ মাস আগে মরিয়মের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও কলে বিয়ে হয় প্রবাসী রুবেল হোসাইনের। এরমধ্যে আসি আসি করেও ছুটি না পাওয়ায় বাড়ি এসে বউয়ের মুখ দেখা হয়নি তার। এবার ছুটি হয়েছে তবে চিরবিদায়ের। তাই বুধবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামে রুবেলের মরদেহ আনা হয় কফিনে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে প্রায় ছয় বছর আগে সৌদি আরবে যান রুবেল।

এর কিছুক্ষণ আগে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয় সাজেদুল ইসলাম ও আরিফের মরদেহ। সম্পর্কে চাচা ভাতিজা তারা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পাগল প্রায় স্বজনেরা। কফিনের গন্ধ আর পরিবারের আহাজারিতে পুরো গ্রামজুড়ে নেমে আসে কালো শোকের ছায়া। আশেপাশের এলাকাবাসীও এক নজর মরদেহ দেখতে ভিড় জমায়। পরে একে একে সবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD