July 27, 2024, 5:28 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার চিকন সাদা সেমাইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এ সেমাই। প্রচুর চাহিদা এবং লাভজনক হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এর নাম দিয়েছেন ‘সাদা সোনা’। ঈদ সামনে এখন কর্মমুখর বগুড়ার সাদা সেমাই পল্লি। এ সেমাই সরবরাহ করতে কারিগররা দিনরাত কাজ করে চলেছেন। তাদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।
বগুড়ার রাজা বাজার ও ফতেহ আলী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই ধরনের সাদা সেমাইয়ের মধ্যে একটি সুতার মতো চিকন এবং অপরটি তুলনামূলক মোটা। খোলা বাজারে দুই ধরনের সেমাই বিক্রি হচ্ছে প্রায় একই দামে। বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারে ময়দা দিয়ে তৈরি সাদা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। আবার সাদা সেমাই (ভাজা) প্যাকেট আকারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
জেলায় কমপক্ষে তিন শতাধিক কারখানায় সাদা চিকন সেমাই তৈরি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কারখানা রয়েছে শহরের মাদলা, বেজোড়া, ঢাকন্তা, শ্যাওলাকান্দি, বনানী, সুলতানগঞ্জপাড়া, চেলোপাড়া, নারুলী, নুরানী মোড়ে বৃন্দাবনপাড়ায়। কেউ কারখানা খুলে, আবার কেউ নিজ নিজ বাড়িতে সেমাই তৈরি ও প্যাকেটজাত করেন। তবে তাদের বেশিরভাগই মৌসুমি ব্যবসায়ী। পুরো রমজান মাসে এবং ঈদুল আজহার সময় সেমাই তৈরি ও বিক্রি শেষে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেন। আবার অনেকেই সারা বছর কারখানায় সেমাই তৈরি ও বিক্রি করে থাকেন। এদের মধ্যে বগুড়া শহরের অর্ধশতাধিক বেকারি ও হোটেল- রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সারা বছর সাদা সেমাই তেরি করে।
বগুড়া শহরের রাজা বাজার এলাকার সাদা সেমাই ব্যবসায়ী আমিনুল মিয়া বলেন, সময়মতো কারিগর পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলে বেশি দামে শ্রমিক রাখতে হয়। ময়দার দাম বেড়েছে। রোদ না থাকলে সাদা সেমাই শুকানো যায় না। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে লোডশেডিং। এসব কারণেই সাদা সেমাইয়ের দাম কিছু বেড়েছে।