September 24, 2023, 4:01 am
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি ও জেলায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু এবং একাধিক ব্যক্তির ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পরও নীরব পৌর কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত মশা নিধনে নেই কোনো তৎপরতা। তাই বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সবখানেই মশার উপদ্রব বেড়েছে।
তবে পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই মশা নিধনের জন্য ওষুধ কিনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওষুধ এলেই ফগার মেশিনের সাহায্যে ছিটানো হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার যত্রতত্রই ময়লা আর্বজনা স্তুপ করে রাখা হয়। ড্রেন-নালাগুলোতেও পানি জমে থাকছে। যে কারণে এডিস মশাসহ বিভিন্ন ধরনের মশার বংশবিস্তার ঘটছে। এরমধ্যে শহরের শান্তিনগর, টাউন কলোনি, স্যানালপাড়া, খন্দকারপাড়া, জগন্নাথপাড়া, ঘোষপাড়া, নামা ঘোষপাড়া, গোসাইপাড়া, উত্তরসাহাপাড়া উল্লেখযোগ্য।
শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা কিসমত আলী, টিপু সুলতান, আইয়ুব আলীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, মশার উপদ্রব খুব বেড়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে ডেঙ্গুর। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ফলে কয়েল ও আগুনের ধোঁয়া দিয়েও মশার কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বলে জানান। গত এক বছর মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ করেন তারা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. গোলাম ফারুক বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন ড্রেন-নালায় জমে থাকা পানিতে মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিনত হয়েছে। এতে মশাবাহিত ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ময়লা-আর্বজনা জমে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে গেছে। ফলে তত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পৌর এলাকা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু বলেন, সম্প্রতি মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌর এলাকার অলি-গলিতে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার ঘটছে মশার।
যা পৌর নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি দ্রুত মশা নিধনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
শেরপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিমাই ঘোষ জানান, পৌরসভায় মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর জন্য ফগার মেশিন আছে। কিন্তু ওষুধ নেই। ওষুধ আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওষুধ পেলেই ছিটানো হবে। শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা এ প্রসঙ্গে বলেন, মশা নিধনের ওষুধ কেনার হচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মশার উপদ্রব থেকে শহরবাসী রক্ষা পাবেন বলে তিনি জানান।