September 27, 2023, 8:48 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ সম্প্রতি ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়ে সৈন্য প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে। তাদের সৈন্যরা এখন সেখানে ‘জেনিন ব্রিগেডসের’ সশস্ত্র ফিলিস্তিনি তরুণদের সঙ্গে লড়াই করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ একত্রিত হয়ে এই জেনিন ব্রিগেড গড়ে তোলে। এখন এই গ্রুপটির ঘাঁটি জেনিন শহরের শরণার্থী ক্যাম্পে। জেনিন ব্রিগেডসে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের মতো আরও কিছু গ্রুপও রয়েছে। গত রবিবার রাত থেকে ইসরায়েলি সৈন্যরা শরণার্থী শিবিরের উপরে আকাশ ও স্থলপথে আক্রমণ পরিচালনা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শরণার্থী ক্যাম্পটি জেনিন শহরের ভেতরে এবং শহরটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের একেবারে উত্তর অংশে। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম বিষয়ক সংস্থার পরিসংখ্যা মোতাবেক ঘনবসতিপূর্ণ এই ক্যাম্পে প্রায় ১৪,০০০ মানুষ থাকে। এর আয়তন আধা বর্গকিলোমিটারেরও কম। জেনিন শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
জেনিন শহরের লোকজন ইসরায়েলি অভিযানের কারনে আটকা পড়েছিল। ইসরায়েল বলছে, ‘ওইসকল ফিলিস্তিনি “জঙ্গিদের” টার্গেট করে আমরা আক্রমণ পরিচালনা করেছি যারা ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর মাঝে মধ্যেই হামলা চালিয়ে থাকে।’ এছারা জেনিনে বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গ্রুপও ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিরোধের কথা ঘোষণা করেছে।
জেনিনের রাজনৈতিক দল ফাতাহর সেক্রেটারি আবু রামেইলেহর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ থেকে ক্যাম্পকে রক্ষা করার জন্য শরণার্থী শিবিরে যতোগুলো গ্রুপ রয়েছে তারা হাতে হাত মিলিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন যোদ্ধারা শীঘ্রই কোন আত্মসমর্পণের পরিকল্পনা করছে না। অতএব সাদা পতাকা না উড়িয়ে তারা তাদের লড়াই অব্যাহত রাখবে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গ্রুপ থেকে আসা এই যোদ্ধারা একতাবদ্ধ হয়ে নিজেদের নাম রেখেছে ‘জেনিন ব্রিগেডস’। সরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিরোধের অঙ্গীকারই তাদের একতাবদ্ধ হওয়ার পেছনে কাজ করেছে। কেননা এবিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই। জেনিন ব্রিগেডসের একজন যোদ্ধা টেলিগ্রাম গ্রুপে একটি অডিও বার্তা পাঠিয়ে বলেন, ‘যোদ্ধাদের মনোবল অত্যন্ত চাঙ্গা আছে এবং মৃত্যু পর্যন্ত তারা তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।’