June 4, 2023, 7:21 am
দুপচাচিঁয়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভ্যানচালক হত্যা ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক অভিযানে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার আশুঞ্জা গ্রামের মুক্তার হোসেন ও ছোট জয়পুর পাড়া গ্রামের শাকিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এসব বিষয় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার যুবকেরা নেশাগ্রস্ত। বিগত সময়ে রাতের বেলা তারা হারুনের ভ্যানে চড়ে বেড়ানোর আবদার করতেন। কিন্তু হারুন তাদের ভ্যানে উঠাতে রাজি হতেন না। এ ছাড়াও নেশা করতে নিষেধ করতেন হারুন।
এ জন্য তার ওপর ক্ষোভ ছিল মুক্তার ও শাকিলদের। এর জেরে গত ২৮ আগস্ট রাতে হারুনের ভ্যান ভাড়া করে। এ সময় ভ্যানে উঠে তারা মাতলামো করতে থাকে। পরে এক পর্যায়ে ইসলামপুর থেকে করমজির পথে এসে হারুন ভ্যান চালাতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে ভ্যানে থাকা যুবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাকু দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে। পরে হারুনের পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনার পরে গ্রেপ্তার যুবকেরা ভ্যান নিয়ে পালানো চেষ্টা করে। কিন্তু ভ্যান বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হতে পারে। এমন ভাবনা থেকে তারা ব্যাটারি খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হারুনের মরদেহ উদ্ধারের দিন ঘটনাস্থল থেকে স্যান্ডেল পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো অভিযুক্তদের বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
গত ২৮ আগস্ট রাতে হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। হারুন দুপচাঁচিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত মঈন ফকিরের ছেলে। তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে একই উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের ঘাটমাগুড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।