April 18, 2024, 5:35 am

  বগুড়ায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জাতীয় নূন্যতম মজুরী আইন প্রনয়ন করা,  নূন্যতম জাতীয় মজুরী ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ ও শ্রমিকদের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, কর্মস্থলে নিরাপত্তাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্যে কমানো এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বাজার দরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি নির্ধারণের  দাবিতে- সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসুচির অংশহিসাবে বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ-০২  সেপ্টেম্বর’২০২২, শুক্রবার, বেলা-১১:৩০ টায়, শহরে প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল ও সাতমাথায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা কমরেড সাইফুজ্জামান টুটুল, বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা সহ-সভাপতি শ্রমিক নেতা সুরেশ চন্দ্র দাস মনো, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বর্মন, সাংগঠনিক সম্পাদক সানোয়ার বাবু, দপ্তর সম্পাদক  আবু রায়হান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান টুটুল বলেন, প্রতিষ্ঠানিক ও অপ্রতিষ্ঠনিক খাতে বাংলাদেশের শ্রমিকেরা শ্রম দিয়ে থাকে। দেশের লেবর ফোর্স সার্ভের হিসাব অনুযায়ী ৬ কোটি ৩৫ লক্ষ্য শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১ কোটির কম শ্রমিক প্রতিষ্ঠানিক খাতে শ্রম দেয়। বাকী ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ্য অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে । বগুড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প কলকার খানা বন্ধ হওয়ার পর শ্রমিকেরা বেশির ভাগই কাজ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এই শ্রমিকদের মজুরি , কর্মঘন্টা, নিয়োগ পত্র, আইডি কার্ড, চাকুরির নিশ্চয়তা কোন কিছুই সুনিদিষ্ট নয়। মালিক বা নিয়োগ কর্তার ইচ্ছা বা মর্জ্জির উপর শ্রমিকদের জীবিকা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। শ্রমিকেরা হাড়-ভাঙ্গা খাটুনি বিনিময়ে যা আয় করে তা স্থানীয় বাজারেই ব্যয় করেন এবং সরকারের কোষাগারে ভ্যাট দেয়। অপরদিকে আমাদের দেশের ধনী এবং মালিকেরা বিদেশে বাজার করেন। দেশের সম্পদ পাচার করে। ভ্যাট-কর ফাঁকিদেয়। যে শ্রমিকেরা দেশের উৎপাদনের চাকা ঘোরায় তারা দিন-রাত হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পরও সংসার চলে না। পুজিঁবাদী  সমাজে মানুষকে বিবেচনা করা হয় টাকার মূল্যে তাই কম মজুরির শ্রমিকদের মানুষ হিসাবে তাদের সম্মান-মর্যাদা  নিয়ে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়াই অথচ যে মালিকেরা  রাৃেষ্ট্রর ভ্যাট- কর ফাঁকি দেয়, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দেয় না  বিগত ৫১ বছরের সরকারগুলি সব সময়  তাদের স্বার্থ রক্ষা করে শ্রমিক আন্দোলনে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন-নির্যাতন করে। লুন্ঠনকারী ও দুবৃত্তরা পুলিশের পাহারায় নিরাপদে থাকে আর শ্রমজীবীরা অসহায় জীবনযাপন করে। তাই তিনি যে সমাজ শ্রমিকদের মর্যাদা দেয় না সেই সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ে শ্রমিকদের যুক্ত হওয়ার আহŸান জানান।
সমাবেশে অন্যন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে খাদ্য, ওষুধ এর মূল্যবৃদ্ধি, বাসা ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, সন্তানের শিক্ষার খরচ বৃদ্ধি, শ্রমজীবীদের জীবনে বাড়তি বোঝা বয়ে এনেছে। শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেলে তা অর্থনীতিতেও বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। তাই শ্রমজীবী মানুষ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে জাতীয় নূন্যতম মজুরী আইন প্রনয়ন করা,  নূন্যতম জাতীয় মজুরী ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ ও শ্রমিকদের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, কর্মস্থলে নিরাপত্তাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্যে কমানো এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বাজার দরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি নির্ধারণের দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD