৬০ দশক থেকে ৭০ দশক সাবেক পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশ নামক দেশটিতে পাকিস্তানি পাঞ্জাবি বিহারি মারোয়ারী কাবুলিওয়ালাদের সুখের একটি স্বর্গরাজ্য ছিলো। আর আমরা নিজ মাতৃভূমিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মত বসবাস করতাম। না করতে পারতাম ভালো চাকুরী। না করতে পারতাম ভালো ব্যাবসা বানিজ্য। না করতে পারতাম ভালো স্কুল কলেজে লিখা পড়া।একদিকে বিহারিদের জায়গা জমি ঘরবাড়ি দখল আর একদিকে কাবুলিওয়ালাদের চড়ামূল্যে সুদের কারবার।এই কাবুলিওয়ালারা যাকে হাতের মুঠোয় নিয়েছে তাকে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এদের কতনা নির্যাতন অত্যাচার সাধারন মানুষ মুখ বুঝে সহ্য করেছে তার ইয়াত্তা নেই। এ দেশে তখনো অনেক বাঘা বাঘা বাঙালির জন্ম হয়েছিল কিন্তু বাংলা স্বাধীন একটি ভূখন্ড পৃথিবীর মানচিত্রে যুক্ত হোক বা বাংলা ভাষা হোক একটি আন্তর্জাতিক ভাষা বা বাঙালি জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন কেউ দেখেনি, এক মাত্র বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া। যদিও ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তার পরতো পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান সম আধিকার আন্দোলন ৬৯ এর গন আন্দোলন আগরতলা ষড়যন্ত্র মুলক মামলা ৬দফা ১১ দফা ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পরবর্তীতে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এতকিছুতে নিজের জীবন কে উৎসর্গ করে সকল লোভ লালসা কে তোয়াক্কা না করে আপোষহীন নেত্রীত্ব দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালিদের জন্য যুক্ত করে ছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক দেশটি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশ কে একটি সোনার বাংলা গড়া এবং এই দেশটিকে উন্নত বিশ্বে স্থান করে দেওয়া। কিন্তু যখনই ৭কোটি কন্বল এর মধ্যে নিজের কন্বলটা পেলেননা তখন তিনি এক রকম হতাশ হয়ে ব্যক্ত করে ছিলেন এ দেশ থেকে কন্বল চোরদের নিপাত না হওয়ার ছাড়া দেশ তো এগুবে না বরং বাংলার নিরীহ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যাবেনা। তখন খন্দকার মোশতাকরা সুখের অট্টহাসি দিয়ে হুক্কা টানছিল আর জাতির জনক কে বুঝাতে চেয়েছিলো এটি একটি নিছক ঘটনা। কিন্তু মোস্তাকদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের কালো রাত্রিতে হারাতে হয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবার পরিজন কে। আমরা যারা মুজিব প্রেমিক বা আমি একজন মুজিব নগর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে লোক হিসেবে এখনো পিতা হারানো ব্যাথা বা বুকের ক্ষত শুকায় নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বাংলাদেশের জন্যে যা করেছেন নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের এর আগে কোনো সরকার এত উন্নয়ন করেনি। যা আজ উন্নত বিশ্বের দেশ গুলি মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দেখছে। কিন্তু আপনার এত সব কর্ম নতুন খন্দকার মোশতাক দের জন্য ভেস্তে যাচ্ছে এবং কোটি কন্বল সৃষ্টি হয়েছে এদের সায়েস্তা না করে উন্নয়নশীল দেশ গড়া কি সম্ভব? আপনার দলের চারিপাশে যে রূপে খন্দকার মোশতাক গিরে রেখেছে সেইরূপে দলে হাইব্রিডদের অত্যাচারে ত্যাগী কর্মীরা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে বা কেউ কেউ দল ছাড়ছে দলে মেধাবীদের হাতে নেত্রীত্ব তুলে দিতে হবে। আপনি জানেন কিনা জানিনা আপনি ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও গ্রামেগঞ্জে একটিও শেখ হাসিনা নেই। বা একজন বঙ্গবন্ধু নেই। আমরা চাই এই বাংলায় হাজারো বঙ্গবন্ধু হাজার শেখ হাসিনার জন্ম হোক। আপনি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ নামক দেশটি উন্নত বিশ্বে যুক্ত হোক। সেটি এদেশের আমজনতা ও চায়। তবে এ দেশের মানুষ এটা চায় না এ দেশ উন্নত বিশ্বে যুক্ত হওয়া মানে একটি দৃশ্যমান বড় রঙিন বেলুন আকাশে উড়ুক যা বাতাস গেলে তলিয়ে যায়। তবে আমি একজন মুজিব নগর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক হিসেবে বলতে চাই দেশ প্রেমিক বড় কর্মকর্তাদের চাকুরির মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া যায় কারন প্রেষনে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চেয়ে চাকুরী রত কর্মকর্তাদের কাজের স্পৃহা বা আগ্রহ বেশি থাকে। মুক্তিযোদ্ধের ছেলেদের চাকুরির ৩০℅ কোটা ঠিক করা যায় চাকুরিতে বয়সের সময় সীমা ৩৫ করে দেওয়া যায়।দলে হাইব্রিডদের উপর শুদ্ধি অভিযান চালানো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে দলে নিরুৎসাহিত করণ আর দল যেন গঠনতন্ত্র মূলক ভাবে পরিচালনা হয়। এবং সরকারে ও দলে বিশৃঙ্খলাকারীদের উপর নজরদারি বাড়ানো। তবেই কেবল বাংলাদেশটাকে উন্নত বিশ্বে উত্তরন করা সম্ভব বলে মনে করি।