October 24, 2024, 6:15 pm

বগুড়ায় শেষ মূহুর্তে কোরবানীর পশুরহাট জমজমাট

মমিন রশীদ ঃ  বগুড়ায় শেষ মূহুর্তে কোরবানীর পশুরহাট জমজমাট। বগুড়া পৌর এলাকায়  বিভিন্ন পশুরহাটে প্রথম দিকে বেচাকেনা না থাকলেও শেষ সময় এসে জমে উঠছে। বৃহস্পতিবার শহরের দত্তবাড়ী – কালিতলা রাস্তায় কোরবানীর পশুরহাট বসেছে ,কালিতলা হাট এলাকা থেকে দত্তবাড়ী পর্যন্ত গরু দেখা গেছে।  এখানে দেশী গরুর চাহিদা বেশী দেখা গেছে।  শুক্রবার শহরের সুলতানগঞ্জ গরু ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায় একই অবস্থা প্রচুর গরু আমদানী হলেও ক্রেতা কম ফলে দাম একটু কমছিল।

ঈদের আগের দিন শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিনই গরু বেচাকেনা চলবে । হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু উঠেছে। এ বছর বিগত বছরের তুলনায় গরু-ছাগলের দাম বেশী। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোনো পক্ষই। তবে এবছর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বলছেন দাম বেশি। খামার মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে গো-খাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশী দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গৃহস্থদের পালা দেশী জাতের গরু ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। দেশীয় বড় সাইজের গরুর চাহিদা ও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

গরু বিক্রেতা আকবর আলী জানান, তার গরু ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম চেয়েছিলেন ১ লাখ ৬০ হাজার। গরু লালন-পালন করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর বিক্রি না হলে পালতে গেলে আরো খরচ হবে। বগুড়ার হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে ( ভটভটি)  করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে।

গরু কিনতে আসা রহমান জানান, বিগত বছর গুলোতে বিদেশী জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তিনি ১লক্ষ ১৬ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন তিনি আক্ষেপ করে বলেন হাটে ইজারাদারদের মেমোতে কোন টাকার অংক দেয়া হচ্ছে না হাছিল অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। ৫০০ টাকার স্থানে ১০০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।

এবছর দেশি জাতের ৭০ হাজার মূল্যের মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৯০হাজার  থেকে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাট কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য মাইকিং এর মাধ্যমে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে মাস্ক পরার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে।

প্রশাসনের নির্দেশ পালনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সুলতানগঞ্জ পশুর হাটের ইজারাদার সাজেদুর রহমান শাহীন জানান,  ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ডাক্তারের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দের সহিত হাট থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করছেন।  গরু-ছাগলের আমদানী বেড়েছ, তেমনি ক্রেতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।  চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। হাটের আশে পাশে পুলিশী ব্যবস্থাসহ তাদের পর্যাপ্ত কর্মী বাহিনী হাটের নিরাপত্তা দিচ্ছে। পশুরহাটে ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কম দামে গরু বিক্রয় হচ্ছে।

সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নতুল নাঈম সুলতানগঞ্জ হাটে অতিরিক্ত হাছিল আদায়ের কারনে ইজারাদার সাজেদুর রহমান শাহীন এর ৫০হাজার টাকা জরিমান আদায় করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD