April 19, 2024, 8:49 am

কোরবানি ঈদকে ঘিরে বগুড়ায় কদর বেড়েছে মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ির

স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ :পবিত্র ঈদুল আজহা সন্নিকটে। মানুষ এখন কোরবানির পশু বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কোরবানির অনুষঙ্গের চাহিদা বাড়ছে। দা, ছুরির পাশাপাশি মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ির (খাইট্টা) চাহিদা বেড়েছে। এদিকে কোরবানি ঈদকে ঘিরে বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির অনুষঙ্গের বেচাকেনা বেড়েছে। বিশেষ করে কাঠের গুঁড়ির চাহিদা তুঙ্গে। সাধারণত তেঁতুল কাঠ দিয়ে খাইট্টা তৈরি করা হয় যাতে মাংস কাটার সময় মাংসে কাঠের গুঁড়া না লাগে। কিছু কাঠ ব্যবসায়ী এ সময়ে এসব সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। বাজারে বিভিন্ন সাইজের খাইট্টা পাওয়া যায়। প্রকারভেদে ২০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় বগুড়া শহরের ঝাউতলার দুই নম্বর রেলগেটের পাশে খাইট্টা বিক্রির পসরা বসিয়েছে চেলোপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ। বিক্রি কেমন হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রতিবছর খাইট্টা বিক্রি করি। তবে তেঁতুল কাঠ সহজে পাওয়া যায় না। তিনি জানান, প্রতিটি সাধারণ মানের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে, গুঁড়ির ওজনের ওপর এই দাম নির্ভর করে। বড় আকারের গুঁড়ির দাম প্রায় ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আমি ১২০০ পিস খাইট্টা তৈরি করে রেখেছি। শুধু লাভের আশায় নয়, কোরবানি ঈদে মানুষের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। খাইট্টা কিনতে আসা বগুড়া শহরতলীর রাজাপুর গ্রামের সোহাগ প্রামানিক বলেন, আজকাল তেঁতুল কাঠের খাইট্টা পাওয়া খুব কঠিন। দোকানদার আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। তাই এখান থেকে একটি মাঝারি ধরনের খাইট্টা কিনলাম। এটি মাংস কাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এদিকে চাহিদা বেশি থাকায় শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দেশীয় তৈরি বিভিন্ন ধরনের দা, ছুরি, বটি, চাকু, চাপাতি, টাকশাল, কাঠের গুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করছেন। ক্রেতারা দর দাম করে তাদের পছন্দমত জিনিস কিনছেন। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় বিক্রেতারও অনেক খুশি।।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD