April 1, 2023, 4:07 am
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ৯ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৩ শতাধিক গ্রামের বানভাসী মানুষগুলোর ভোগান্তি এখনো কমেনি। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। পানি কমলেও বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
নিম্নাঞ্চলের নদী অববাহিকার ঘর বাড়ি থেকে এখনও পানি সরে না যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে আছে অনেক পরিবার। তবে যাদের বাড়ি ঘর থেকে পানি সরে গিয়েছে তারা সেসব বাড়িতে এখনও ফিরতে পারছেন না। কারন এখন সেসব বাড়িঘরে অনেক কাঁদা ও কেঁচো বাসা বেঁধেছে। পুরো সংস্কার করে তারপর সেখানে বসবাস উপযোগী হবে বলে জানান অনেকেই। চলতি বন্যায় প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।কিন্তু সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু থেকে পানি নেমে গেলেও সেগুলো এখনও চালু করতে পারেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চরের পাশের বাসিন্দা ইউসুফ হোসেন জানান, চরের থেকে পানি নেমে গেলেও বাড়িতে এক হাঁটু কাঁদা। তাই বাড়িতে যেতে পারছিনা। আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।তাছাড়া হাতে পয়সাও নেই কিভাবে বাড়িঘর মেরামত করব।
এদিকে, গত ৫ দিনের ব্যবধানে নদনদীর পানি কমতে থাকায় তিস্তা ও ধরলায় শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তা নদীর ভাঙনে সদরের হলোখানার সারডোব এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগার কয়েকটি স্থানে ও হাতিয়া ইউনিয়নের একটি বাজারে প্রায় ২০টি দোকান ঘর ও অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ইতোমধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। একদিকে বন্যা অপরদিকে নদীভাঙন যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত এসব বানভাসীদের জন্য হয়ে উঠেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বন্যার পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ তিস্তা নদীর ১৫টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে ওয়াপদা থেকে অস্থায়ীভাবে বালুর বস্তা ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।