October 4, 2024, 11:42 am
যমুনা নিউজ বিডি: টানা ৩২ বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলি বিমান হামলায় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহর দায়িত্ব কে নেবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর পরবর্তী প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন হাসিম সাফিউদ্দীন।
হিজবুল্লাহর একটি সূত্রও জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া হাসিম সাফিউদ্দীনকে নতুন সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দেখা যেতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসেম সাফিয়েদ্দিন হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান এবং গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করেন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই গোষ্ঠীল সামরিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী জিহাদ কাউন্সিলের সদস্যও তিনি।
হাসিম সাফিউদ্দীনের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি নাসরুল্লাহর দূরসম্পর্কের ভাই। তিনি একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বও। এ ছাড়া তিনি নিজেকে শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর খুব কাছের বংশধর হিসেবেও দাবি করেন।
২০১৭ সালে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত জুনে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। সাফিউদ্দিন তখন বলেছিলেন, শত্রুকে কান্না ও বিলাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলো।
প্রায়ই দেশের জনতার উদ্দেশে বিবৃতি দেন হাসেম সাফিউদ্দিন। তার বক্তব্যে হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের বিষয়গুলো ওঠে আসে।
সম্প্রতি বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়েহ উপশহরে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাস, আমাদের বন্দুক ও আমাদের রকেট সবই তোমাদের সঙ্গে আছে।
লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া এই গোষ্ঠীর গবেষক ফিলিপ স্মিথ বলেন, হিজবুল্লাহর বিভিন্ন কাউন্সিলে সাফিউদ্দিনের জন্য বিভিন্ন পদ তৈরি করা শুরু করেছিলেন হাসান নাসরাল্লাহ, যার মধ্যে কিছু পদ ছিল অন্যদের চেয়েও বেশি গোপনীয়। তারা তাকে আনা-নেওয়া করতো ও জনসমক্ষে কথা বলতে পাঠাতো।
নাসরুল্লাহর সঙ্গে হাসেম সাফিউদ্দিনের পারিবারিক সম্পর্ক ও শারীরিক সাদৃশ্য থাকায় এবং তিনিও মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হওয়ায় হিজবুল্লাহর হাল ধরা তার পক্ষে সহজ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহর প্রথম প্রধানকে ১৯৯২ সালে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিলো ইসরাইল। এরপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। তার মৃত্যুও হলো সেই ইসরায়েলি হামলায়।