October 13, 2024, 2:26 pm

News Headline :
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার নামে মামলা রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস বগুড়ায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে-উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম নন্দীগ্রামে বিএনপির মামলায়  যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪  বগুড়ায় হেল্প ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে: ট্রাম্প আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যেতে গিয়ে ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি বন্দী হন

যমুনা নিউজ বিডি: দালালদের ইউরোপ পাঠানোর প্রলোভনে পা দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন শত শত বাংলাদেশি। ইউরোপ যেতে গিয়ে লিবিয়ায় ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মীই বন্দি হয়েছেন। এই বন্দি কর্মীদের ৭৯ শতাংশই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের ৫৪ শতাংশ কর্মী কখনো তিন বেলা খাবার পাননি। আর ২২ শতাংশ কর্মী দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পেয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় ব্র্যাক।

ব্রাক জানায়, লিবিয়া থেকে ফেরত আসা ৫৫৭ জন বাংলাদেশির যাত্রা, গন্তব্য, অর্থ, নিপীড়ন, উদ্ধার থেকে শুরু করে প্রত্যেকের ৫০ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী লোকজন সবচেয়ে বেশি ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে ৩১ থেকে ৩৫ বছরের লোক সবচেয়ে বেশি। এদের বেশির ভাগেরই বাড়ি মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা এলাকায়।

ব্র্যাক আরও জানায়, যাত্রাপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে দুবাই-মিসর হয়ে লিবিয়া গেছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল-দুবাই হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে কাতার হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে দুবাই-সিরিয়া হয়ে লিবিয়া এবং অল্প কিছু লোক ঢাকা থেকে সরাসরি লিবিয়া গিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বিয়ে করতে এসে পুলিশ হেফাজতে দুই কিশোরী

‌‘এভাবে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অর্থ কোথায় পেয়েছেন?’- এমন প্রশ্নের উত্তরে ৫৬ শতাংশ বলেছেন, তারা নিজেরাই এই টাকা জোগাড় করেছেন। ২৩ শতাংশ বলেছেন, তারা পরিবারের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফরম) বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জেলার লোক কিন্তু এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে না। মূলত সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। আমাদের গবেষণায় এটি উঠে এসেছে যে দালালরা এসব এলাকার অভিভাবক ও তরুণদের ভালো চাকরি আর ইউরোপের প্রলোভন দেখাচ্ছে, যেটি বাস্তবসম্মত নয়।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও বিদেশগামীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচারচক্রকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমন্বিত অভিযান চালাতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD