October 14, 2024, 5:11 am
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ শহরকে তীব্র যানজটের নগরী বললে হয়তো ভুল বলা হবে না। ঘর থেকে বের হলেই চোখে পড়বে তীব্র যানজটে নাকাল শহরটির বাসিন্দারা।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
বিশেষ করে শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, চরপাড়া মোড়, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, নতুনবাজার লেভেলক্রসিং, নতুনবাজার ট্রাফিক মোড়, সি কে ঘোষ রোড, মিন্টু কলেজ লেভেলক্রসিং, জিলা স্কুল মোড়, কাচারিপুকুর, দুর্গাবাড়ি মোড়, জুবিলি ঘাট ও কালীবাড়ি এলাকায় নিয়মিত তীব্র যানজটের দেখা পান এখানকার বাসিন্দারা।
এই যানজটের কারণেই শহরটি বিশ্বের ধীরগতির শহরের তালিকায় রয়েছে নবম স্থানে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, ১৫২টি দেশের ১ হাজার ২০০টির বেশি শহরে যান চলাচলের গতি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি।
শহরের সচেতন নাগরিকরা বলছেন, রাস্তার তুলনায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সেই সঙ্গে ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার জন্যই ময়মনসিংহ নগরীর যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এর জন্য সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন নাগরিকরা।
তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের জন্যই সৃষ্টি হচ্ছে এ যানজট।
ট্রাফিক বিভাগের তথ্যমতে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ১২ হাজার বৈধ রিকশা-অটোরিকশা চলাচল করছে। এ ছাড়াও অবৈধভাবে চলাচল করছে আরও কয়েক হাজার।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, শহরের যানজট নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য রাস্তার ৮০ ভাগ ফাঁকা থাকে এবং মাত্র ২০ ভাগ রাস্তায় যান চলাচল করে। আর ময়মনসিংহ নগরীর চিত্রটা ঠিক উল্টো। এখানে ৮০ ভাগ রাস্তায় যান চলাচল করছে আর মাত্র ২০ ভাগ রাস্তা ফাঁকা রয়েছে।
রাস্তার তুলনায় এতো যানবাহন থাকায় যানজট পরিস্থির অবনতি ঘটছে বলে জানান ট্রাফিক ইন্সপেক্টর।
যদিও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, অনেক রিকশা-অটোরিকশাই অবৈধভাবে চলছে। যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাস্তার অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে পারলে কিছুটা হলেও যানজট নিরসন করা সম্ভব।
এ বিষয়ে জেলা নাগরিক আন্দোলনের নেতারা বলছেন, ময়মনসিংহ নগরীকে যানজট মুক্ত করতে হলে পরিকল্পিত নগরায়ন করতে হবে।
এ ছাড়াও রাস্তাঘাট সম্প্রসারণের দিকেও সিটি করপোরেশনকে নজর দেয়ার জোর দেন নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।