October 16, 2024, 8:28 am
যমুনা নিউজ বিডি: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে জান্তা সরকার। একই সঙ্গে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা জোরদার করছে তারা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সর্বপশ্চিমের এই রাজ্য হারাতে চলেছে বুঝতে পেরে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব কথা বলেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। খবর দ্য ইরাবতীর।
দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাখাইনের মিয়েবন শহরে দুটি তল্লাশিচৌকি থেকে সেনাদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়ার পর আরাকান আর্মি এ বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য এসব সেনাকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জান্তার সেনাবাহিনী নিশ্চিত হয়ে গেছে যে আমাদের প্রতিরোধ করতে গেলে তারা পরাজিত হবে। সে কারণে আমরা যেসব শহর দখলের লক্ষ্য নিচ্ছি, সেগুলোর তল্লাশিচৌকি ও ঘাঁটি পুড়িয়ে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা।
আরাকান আর্মি বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, গতকাল (রোববার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মিয়েবন শহরের ৪০২ ও ৪০৮ তল্লাশিচৌকির ভেতরে তাঁদের মজুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করেন জান্তা সেনারা। তল্লাশিচৌকির যেসব অস্ত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেগুলো নিয়ে গেছে।
দুটি তল্লাশিচৌকির সেনাদের হেলিকপ্টারে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের অ্যান শহরে জান্তার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এই দুই ঘাঁটি থেকে চার দফায় সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে জান্তা বাহিনী এমনটাই দাবি করেছে আরাকান আর্মি।
জানা গেছে, জান্তা সেনারা দক্ষিণ রাখাইনের রামরিতে অনবরত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছেন। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে শহরটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। শনিবার বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে চার নম্বর কিং তাই ওয়ার্ডের অন্তত ১৫০টি ঘর পুড়ে গেছে। থেইম তং প্যাগোডা হিল থেকে রোববারও রামরি শহরে কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জান্তাবিরোধী এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই ভিন্নমতের ওপর চরম দমন–পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। এ অবস্থায় জান্তার বিরুদ্ধে আরাকান আর্মিসহ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন অনেকে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীরাও। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।