October 13, 2024, 12:59 pm
বগুড়া ডিএএফও কার্যালয়ে সুবিধাভোগীদের সর্বোচ্চসেবা প্রদান
মমিনুর রশীদ শাইনঃ বগুড়ার নাগরিক-বান্ধব জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারের কার্যালয় (ডিএএফও) জনবলের ঘাটতি সত্ত্বেও জেলার বয়স্ক পেনশনভোগী, সেবাপ্রার্থী এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের সর্বাত্মক ও আন্তরিক সেবা প্রদান করছেন।
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং কন্ট্রোলার জেনারেল অফ একাউন্টস (সিজিএ), বাংলাদেশ এবং বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক (ডিসিএ), রাজশাহীর তত্ত্বাবধানে অফিসটি সর্বোত্তম সেবা প্রদান করছেন।
পেনশনভোগীরা, তাঁদের পরিবারের সদস্য, বয়স্ক মানুষ, প্রবীণ নাগরিক, সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদার, সংবাদকর্মীরা জেলার ডিএএফও অফিসের পরিষেবার অধীনে সেরা সুবিধাভোগী এবং তারা তাদের পরিষেবা পাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য বইতে মন্তব্য করতে পারেন।
বগুড়া জেলার বর্তমান একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার (ডিএএফও) মোঃ শামসুল আলম সরকারের গতিশীল ও কল্যাণকর দিকনির্দেশনায়, কার্যালয় থেকে পরিষেবার পদ্ধতিগুলি দ্রত পরিবর্তিত হয়েছে এবং পরিষেবাপ্রার্থীরা তাদের পরিষেবাগুলি সুষ্ঠুভাবে পাচ্ছেন।
নিয়মিত পেনশন, পারিবারিক পেনশন, লাইফ ভেরিফিকেশন, জেলার কর্মচারীদের ইএফটি এর মাধ্যমে বেতন প্রদান, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ, প্রকিউরমেন্ট বিল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।
বগুড়ার ডিএএফও মোঃ শামসুল আলম সরকার জানান যে, ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে, ২৩৭টি পেনশন মামলা এবং ১৬২টি পারিবারিক পেনশনের পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে এবং জেলার সেবা সুবিধাভোগীদের জন্য ১৩,০০০ টিরও বেশি লাইফ ভেরিফিকেশন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মোঃ নুরুল ইসলামের উদ্ভাবনী দিকনির্দেশনা এবং নিষ্ঠার সাথে, পে-পয়েন্টের ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেল বয়স্ক পেনশনভোগী, সেবা গ্রহীতা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সেবা প্রদান করে আসছে। আন্তরিকতার সাথে তিনি সরকারি ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অপ্টিমাইজ করার জন্য পেমেন্ট সিস্টেমে ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টার রিকগনিশন (এমআইসিআর) চেক চালু করেছে, জানান বগুড়া ডিএএফও।
সদ্য মারা যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের অর্ধাঙীনি সাজেদা খাতুন বলেছেন যে, পেনশনভোগী মৃত স্বামীর তালিকার পরিবর্তে তার নাম ¯্হাপনের জন্য ডিএএফও অফিসে পরিষেবা প্রদান এবং অফিসে কোনও বিলম্ব ছাড়াই তাকে নতুন পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) বইটি প্রদান করেছে।
সেবাগ্রহীতা শ্রী রবীন্দ্রনাথ, ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির অবসরপ্রাপ্ত ঝাড়ুদার, বগুড়া ডিএএফও অফিসের সেবায় অত্যন্ত সšুÍষ্ট।
পেনশনভোগী এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক একেএম শফিকুর রহমান বলেন, অবসর গ্রহণের পর কোনো ঝামেলা ছাড়াই পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য আন্তরিক সেবা পেয়েছেন ডিএএফও কার্যালয় থেকে।
বগুড়া সদর উপজেলার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একেএম ফরহাদ নোমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ট্যুর বিলের জন্য বগুড়ার ডিএএফও অফিসে গিয়েছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তা তাকে তাৎক্ষণিক সহায়তা করেছেন।
মোঃ শামসুল আলম সরকার, জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার, বগুড়া বলেন, তারা অফিস থেকে ১০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে সেবা দিচ্ছেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রযুক্তিগত সমস্যা, এনআইডি, লোকেশন মিস-ম্যাচিং, আই-বাস++, সুবিধাভোগীদের নির্দিষ্ট কাগজপত্রের অভাবের কারণে পেনশন কার্যক্রম বিলম্বে সম্পাদিত হচ্ছে বলে, ডিএএফও জানান।