October 11, 2024, 7:58 am
জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ এর বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক বগুড়ার সাবেক প্রতিনিধি এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সহ-সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মুঞ্জু’র (৫২) দ্বি-খন্ড লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় আদমদিঘী উপজেলার মুরইল ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন স্থানে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাটি অত্যন্ত রহস্যজনক। কেউ বলছেন সড়ক দুর্ঘটনা আবার কেউ বলছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে মেজবাহ জানান, তাদের আদমদিঘী উপজেলার উজ্জ্বলতা গ্রামে একটি পিকনিকের আয়োজন ছিল। পিকনিক শেষে সম্পর্কের এক ভগ্নিপতি আতোয়ার রহমানকে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামে মোটরসাইকেল যোগে রাখতে যান মঞ্জু। এরপর আর বাড়িতে না আসলে রাত পৌনে ১২টার দিকে উল্লেখিত স্থানে দ্বি-খন্ড লাশ হিসেবে পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। পরে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে পুলিশ সংবাদ দিলে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের লোকজন জানান, তাকে হত্যা করে দ্বি-খন্ড করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আদমদিঘী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সাংবাদিক মঞ্জু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আমরা তার দ্বি-খন্ড লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। নিহত সাংবাদিক মঞ্জুর স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত হলে সাংবাদিকতা করেন এবং আদমদিঘী প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিহত মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু আদমদীঘি উপজেলার উজ্জ্বলতা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এ দিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ এর সহ সভাপতি মমিনুর রশীদ শাইন, বগুড়ায় ভোরের কাগজের প্রনিনিধি বাদল চৌধুরী, মুহাম্মাদ আবু মুসা, ইউনুছ উদ্দীনসহ অন্যান্য প্রতিনিধি। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক ইইউনুছ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন মন্ডলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে সুষ্ঠ তদন্ত করে ঘটনার রহস্য বের করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর।দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।