October 14, 2024, 6:25 am

News Headline :
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার নামে মামলা রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস বগুড়ায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে-উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম নন্দীগ্রামে বিএনপির মামলায়  যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪  বগুড়ায় হেল্প ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে: ট্রাম্প আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

ধুনটে ২টি গুদামে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটের ২টি সরকারি খাদ্যগুদামে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৬৪৫ মেট্রিক টন থাকলেও কৃষকের কাছ থেকে আড়াই মাসে কোন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর।

তবে বরাদ্দকৃত ৩৩১ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র সাড়ে ২০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার ২ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলার খাদ্য গুদামগুলো।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদর ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়নে সরকারি খাদ্যগুদাম রয়েছে। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে সরকারি ভাবে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আমন ধানের দাম ধরা হয়েছে ৩০ টাকা এবং ৪৪ টাকা চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনকৃত ১৮১ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য বিভাগ।
অ্যাপসে মনোনীত কৃষকেরা জানান, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে হলে নিবন্ধন, লটারী, আর্দ্রতা যাচাই, পরিবহন খরচসহ নানারকমের ঝামেলা পোহাতে হয়। এছাড়া ৩০ টাকা কেজি দরে সরকারিভাবে ধানের সংগ্রহমূল্য প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ টাকা।

অন্যদিকে হাট-বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান প্রকারভেদে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। কৃষকের কাছে ধানই নেই। একদিকে সরকারি দামের চেয়ে ধানের বাজারদর বেশি, অন্যদিকে চালের সরকারি মূল্য প্রতি কেজি ৪৪ টাকা হলেও বাজারে এ দরে কোনো চাল নেই বলে জানান কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষক নবীর উদ্দিন জানান, সরকারি গুদামগুলোতে নানা ধরনের নিয়ম রয়েছে। এগুলো বাড়তি ঝামেলা। এরপর রয়েছে পরিবহন ব্যয়। ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক সময় বাড়িতে বসেই ধান বিক্রি করা যায় এবং সেটা নগদ টাকায়। তাই কৃষকেরা স্থানীয় মোকাম বা ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করেন। কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে বিক্রির পর টাকা পেতেও কয়েক ধাপের প্রক্রিয়া পার করতে হয়।

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে কোনো ধান সংগ্রহ করা যায়নি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। যার ফলে এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD