October 13, 2024, 2:52 pm
যমুনা নিউজ বিডি: মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসতবাড়িতে বিষ্ফোরণে দুইজন নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে পালিয়ে আসা জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া কথা জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত সেদেশের ৯৫ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের নিরস্ত্রকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার জানান, বিজিবি সদর দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে তাদের ফেরত পাঠাবো।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। চলমান সংঘাতে নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সতর্ক রয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করার তথ্যও জানান রিজিয়ন কমান্ডার।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বসতবাড়িতে বিষ্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হুসনে আরা (৫০) ও নবী হোসেন। আর নিহত রোহিঙ্গা নবী হোসেন বাদশা মিয়ার বাড়িতে কাজ করতেন।
অন্যদিকে সোমবার দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। পরে তাদের পুশব্যাক করে বিজিবি।
অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা হলেন- মংডু জেলার ভৌগনী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মো. রহমত উল্লাহ (৩০), তার স্ত্রী সাজেদা (২৫), ছেলে হায়াতুন নূর (৫), জোনাইদ (৩) ও দেড় বছরের মেয়ে আমাতনুর।