October 4, 2024, 4:45 am
যমুনা নিউজ বিডি: কর আদায়ে মনোযোগ দেওয়াসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আজকের সভায় সব সচিব উপস্থিত ছিলেন। সচিব পদমর্যাদায় অন্য দপ্তরের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে সচিব সভা হয়, সেটা নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা প্রত্যাশার কথা ও তার নির্দেশনা আমরা শুনতে চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুস্পষ্টভাবে আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বজায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কর আদায়ের প্রতি সচিবদের মনোযোগী হতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাদের আয়কর দেওয়ার কথা, অথচ করের আওতায় আসেনি, তাদের করের আওতায় নিয়ে আসতে তিনি জোরালো নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এছাড়াও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয়ে নির্দেশনাও এসেছে সরকার প্রধানের কাছ থেকে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অহেতুক যাতে হয়রানি হতে না হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো কারণে যদি কোনো বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সেটা তিনি ভালোভাবে নেবেন না।’
পাট, চামড়া ও কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে বিশেষ সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের মতো চামড়া, কৃষিজাত ও পাটজাত পণ্যেও একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে বলেছেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলেছেন। সেচ মৌসুমে যাতে কোনো বাধা না আসে, সেটা দেখতে বলেছেন।’
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রত্যাশা ও নির্দেশনার কথা শুনতে চান সচিবরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতিহার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রমজানের প্রস্তুতি, খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন ও সার ব্যবস্থাপনা, কর্মমুখি শিক্ষা, নতুন পাঠ্যক্রম ও কর্মমুখী শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
এছাড়াও সংসদ কার্যক্রমে যথাযথ সহায়তা পালন করতেও সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশেষ করে প্রশ্নোত্তর পর্বে সহায়তা করতে বলেছেন। সংসদীয় কার্যাবলীতে কর্মকর্তাদের অবহিত হতে বলেছেন। তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের কথাও বলেছেন তিনি। নির্বাচনী ইশতিহার নিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৯৬ সালে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ইশতিহার দিয়েছেন। ২০৪১ সাল নাগাদ তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছেন। আগামী পাঁচ বছরে সরকার পরিচালনার মূলনীতি দল হচ্ছে ইশতিহার। কাজেই ইশতিহার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’
নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হতেও বলেছেন সরকার প্রধান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার মূল লক্ষ্য হলো জনমানুষের অবস্থানের উন্নয়ন। কাজেই প্রকল্প থেকে জনমানুষের উন্নয়ন হয়েছে কিনা, সেটা তিনি জানতে চাইবেন। কাজেই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি দেখতে বলেছেন।’