October 6, 2024, 1:02 am
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: মালচিং নিরাপদ সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি হওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এর জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুদখুর গ্রামের মাঠে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে শসা। এমন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে অন্যান্য চাষিরাও ফসল চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন।
মূলত রবি মৌসুমে জমিতে পানির স্বল্পতা থাকায় এই মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কৃষকরা অল্প পরিশ্রম, সেচ, খাদ্য ও কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের দ্বিগুণ উৎপাদন পেয়ে লাভবান হওয়ায় উপজেলার অনেক কৃষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে শসাসহ সবধরনের ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
এই পদ্ধতিতে কীটনাশক ও সারের ব্যবহার কম হওয়ায় ভোক্তারা পাচ্ছেন নিরাপদ সবজি। অপরদিকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ।
উপজেলার চ্যাংগ্রাম গ্রামের শসা চাষি মুক্তার জানান, প্রথমে তিনি ইউটিউবে এই মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর প্রশিক্ষণ নিয়ে গত বছর স্বল্প পরিমাণে শসা চাষ করলেও শতক প্রতি ৩ থেকে ৪ মন শসা উৎপাদন হওয়ায় এ বছর তিনি আড়াই বিঘা জমি লিজ নিয়ে শসা চাষ করছেন। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে খরচ তুলনামূলক কম।
তিনি অধিক লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃিষবিদ উম্মে সালমা বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে ৩ মৌসুম খরিপ ১, খরিপ ২ ও রবি মৌসুমে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে ঘোড়াঘাট উপজেলায় চাষাবাদ হচ্ছে। তবে আগামীতে এর ব্যবহার আরও ব্যাপক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ হচ্ছে তা রবি মৌসুমের।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, উপজেলার কৃষকদের কাছে এই মালচিং পদ্ধতি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের কৃষি ও কৃষকদের আধুনিকরণ করতে এমন উন্নত কৃষি প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।