October 13, 2024, 2:51 pm
যমুনা নিউজ বিডি: গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সবচেয়ে করুণ দিন কেটেছে ইসরায়েলের। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সেনাবাহিনী জানিয়েছে, একদিনেই ইসরায়েলের ২৪ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া বড় ধরনের স্থল অভিযানের পর দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর খান ইউনিস ঘেরাও করার দাবিও করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই পদক্ষেপকে হামাসকে পরাজিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই একটি এলাকায় তীব্র লড়াই এবং বোমাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে বেসামরিকরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এই খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাস যোদ্ধারা একটি ট্যাংক লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করলে ট্যাংকটির কাছাকাছি দুটি ভবন বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ২১ সেনা নিহত হন। এছাড়া এর আগে পৃথক আরেকটি হামলায় দক্ষিণ গাজায় তিন সৈনিকের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে।
‘গতকাল আমরা এ যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোর একটি পার করেছি,’ বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
২০২৪ সালের অন্যতম ভারী যুদ্ধ হয়েছে খান ইউনিসের বাকি অংশ দখল করার ইসরায়েলি অভিযানের সময়। ‘গত কয়েকদিন ধরে আইডিএফ [ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস] বড় এক অভিযান পরিচালনা করে খান ইউনিস ঘিরে ফেলে এই এলাকায় অভিযান আরও তীব্র করেছে। এলাকাটি হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেডের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি,’ বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে খান ইউনিসে অভিযান পরিচালনার সময় ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনী হাসপাতালগুলোতেও প্রবেশ করে অবরোধ তৈরি করেছে। এতে আহত ও নিহতদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৪৯০ জন ফিলিস্তিন এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর আহত হয়েছেন ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়াও ৮ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা মারা গেছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।